পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় নিখোঁজের ১১ দিন পর হেলাল হোসেন (২৬) নামে এক ইলেকট্রিশিয়ানের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার ধানীসাফা গ্রামের ডোবা থেকে হেলাল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত হেলাল হোসেন জেলার পার্শ্ববর্তী ইন্দুরকানী উপজেলার সাউথখালী গ্রামের আব্দুল কাদের কারীর ছেলে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান ছিলেন।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামলা দায়েরের পর পুলিশ পলাতক স্ত্রী সাজেদা মিলনকে স্বরূপকাঠি উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, নিহত হেলাল বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ হয়ে স্ত্রী সাজেদা বেগমকে নিয়ে ধানীসাফা গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের তাবাসসুম নামের দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্ত্রী সাজেদা বেগমের সাথে হেলালের দাম্পত্য কলহ চলছিল । অতিসম্প্রতি টাকা-পয়সা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে । পরে রাতে হেলাল নিখোঁজ হন। স্থানীয় ভাবে অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয় এক নারী প্রতিবেশী শাক তুলতে গিয়ে আলম বেপারীর বাড়ির পিছনে একটি ডোবায় অর্ধগলিত অবস্থায় হেলালের মরদেহ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশে খবর দেয়। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় রাতেই মাঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাঃ নুরুল ইসলাম বাদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মঠবাড়িয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. নুরুল ইসলাম বাদল জানান, নিহত হেলালের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয় নিহেতর বোন মিনারা বেগম সোমবার বাদী হয়ে সাজেদা বেগম সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ইতোমধ্যে অভিযান চালিয়ে ঘাতক মাজেদা বেগম কে জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলার পৌর শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।