rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114নিজেস্ব প্রতিবেদক : জীবনবাজি রেখে হামলা, ভাঙচুর ও মারামারি মধ্য থেকে সাধারন পথচারীদের রক্ষা করে নগরবাসীর কাছে প্রশংসায় ভাসছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট শহীদুল ইসলাম। এসময় তিনি নিজেও হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন। তার উপর এই হামলার নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে উপস্থিত জনসাধারন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বরিশাল নগরীর ফজলুল হক এভিনিউ এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যান ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ ও রিকশাভ্যান চালক শ্রমিক পরিষদ এবং সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের যৌথ উদ্যোগে নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভকারিরা একটি মিছিল নিয়ে নগর ভবনের সামনে আসলে আকস্মিক শ্রমিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।এসময় মিছিলের পাশ থেকে একটি মোটরসাইকে অতিক্রম করতে থাকলে শ্রমিকদের মধ্য থেকে কয়েকজন মোটরসাইকেলে থাকা আরোহীকে বেধম মারতে শুরু করে এবং মটরসাইকেলটি ভাংচুর করে। একইসময় ব্যাটারিচালিত যানবাহনের চালকদের একটা অংশ নগরভবনের সামনে ট্রাফিক সিগনালে আটকে থাকা সিএনজি, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। ভাংচুরের এক পর্যায় একটি সিএনজি উল্টো করে ফেল্লে সেখানে নারী-শিশু সহ ৪-৫ জন আহত হয়।
এসময় ঐ এলাকায় ট্রাফিকে দায়িত্বপালন করছিলে সার্জেন্ট শহীদুল। দূর থেকে এসব দেখে তিনি দৌড়ে ঘটনাস্থল আসনে এবং মটরসাইকেল আরোহী, নারী-শিশু সহ সাধারন পথচারীদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে বিশৃঙ্খলকরীরা শহীদুলের উপর চরাও হয়ে এক পর্যায়ে তার উপর হামলা চালায়। পরবর্তীতে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থানে চলে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং আহতদের পুলিশ হেফাজতে এনে প্রথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
আহত মোটরসাইকেল চালক মেহেদী মুন্না জানান, গাড়ির কাগজপত্র সাথে নাথাকায় সার্জেন্টকে দেখে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।এসময় শ্রমিদের ধাক্কায় মোটরসাইকেলসহ পড়ে গেলে তাদের মধ্যে থেকে কয়েকজন শ্রমিক আমাকে কিল-ঘুষি, লাঠিপেটা করতে থাকে। আমাকে বাঁচাতে ট্রাফিক সার্জেন্ট শহীদুল স্যার এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়েছে শ্রমিকরা।’
হামলায় আহত সার্জেন্ট শহিদুল ইসলাম আজকের বার্তাকে জানান, বাসদ জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে একটি মোটরসাইকেল ওই স্থান দিয়ে যাচ্ছিল। আকস্মিক শ্রমিকরা মোটরসাইকেল চালক ও মটরসাইকেলটি ভাঙচুর করতে থাকে।এছাড়া অন্যান যানবাহনে ভাংচুর সহ সাধারন পথচারীদের রক্ষায় এগিয়ে গেলে বিক্ষোভকারীরা আমার উপর চড়াও হয়ে তারা আমাকেও বেদম মারধর সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। পরবর্তীতে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ চলে আসলে হামলাকীরা সটকে পরে এবং পুলিশ ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অন্যদিকে হামলা যানবাহনে ভাঙচুরে বিক্ষোভকারীদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন বাসদ বরিশাল জেলা শাখার সমন্বয়কারী ডা. মনীষা চক্রবর্তী।
এবিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার ফজলুল করিম বলেন,সার্জেন্টের ওপর হামলার বিষয়টি তদন্তে সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ যানবাহনের চালক ও মালিকরা মামলা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।