rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114পটুয়াখালী পৌরসভার ১০ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। এই বিপুল অংকের বিল আদায়ে পটুয়াখালী বিদ্যুৎ অফিস বারবার তাগাদাপত্র দিলেও টাকা পরিশোধে উদ্যোগ নেই পৌর কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে, ২৬ বর্গকিলোমিটারের এই পটুয়াখালী পৌরসভায় এখনো প্রায় ১০ কিলোমিটারের মতো সড়ক কাঁচা রয়েছে। এসব সড়কে লাইটিং না থাকায় রাতে চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু চার লেনসহ কয়েকটি সড়কে অপরিকল্পিতভাবে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পৌরবাসী অভিযোগ করে বলেন, প্রতি বছর জ্যামিতিক হারে পৌর ট্যাক্স বাড়িয়েও ১০ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া। তার পর আবার রাত অবধি এই সড়কে এত আলোকসজ্জার কোনো মানে আছে কিনা তা আমাদের বোধগম্য নয়। অনেকে আবার এটিকে ব্যাখ্যা করেছেন আসন্ন পৌর নির্বাচনে ভোটের রাজনীতি হিসেবে।
পটুয়াখালী ওজোপডিকো অফিস সূত্রে জানা গেছে, পৌর ভবন, কমিউনিটি হল, পানির পাম্প ও পৌর এলাকার রাস্তাসহ প্রায় ৩২টি হিসাবের বিপরীতে পৌরসভা এ বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। গত সাড়ে চার বছরে পটুয়াখালী পৌরসভায় বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে ৯ কোটি ৯৩ লাখ ৪৫ হাজার ৯২ টাকা। বিভিন্ন মাসে পৌর কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিল দিলেও বেশিরভাগ মাসেই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছে না।
এ নিয়ে প্রতি মাসে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপডিকো) পটুয়াখালী বারবার বকেয়া বিল পরিশোধে পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিলেও অজ্ঞাত কারণে প্রায় ১০ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করেননি তারা।
পটুয়াখালী বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দীন মোহাম্মদ মহিম জানান, বেশ কয়েক বছর ধরেই পৌরসভার কাছে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে, যা এখন প্রায় ১০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও বকেয়ার পরিমাণ কমছেই না, বরং আরও বাড়ছে।
পৌরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী রিয়াজ উদ্দিন মজুমদার জানান, নতুন নতুন কিছু রোড করা হয়েছে। এসব সড়কে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করায় আগের চেয়ে বিদ্যুৎ খাতে ব্যয়ও বাড়ছে। পৌরসভার হিসাবমতে, ৩২-৩৫ লক্ষাধিক টাকার মতো বিদ্যুৎ বিল আসতো জুন মাসের পর থেকে।
এ বিষয়ে জানতে পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।