rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম গাবখান চ্যানেল এলাকায় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। এতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সাতটি নৌকা অংশ নেয়। নদীর দুই পাড়ে হাজারো মানুষ এ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন।সুগন্ধা নদীর দুই তীরের দুপুরের পর থেকেই মানুষের ভিড়। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে শহরের পাশাপাশি গ্রামের মানুষও এসেছে। বিকেল চারটায় শুরু হয় নৌকা বাইচ। বৈঠার সলাৎ সলাৎ শব্দ আর বাদ্য যন্ত্রের তালে তালে জারি আর সারি গান গেয়ে মাঝি মাল্লারা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। হাজারো মানুষ নদীতে ট্রলার নিয়ে এবং দুই তীরে দাঁড়িয়ে নেচে গেয়ে উল্লাস করে প্রতিযোগিদের উৎসাহ দেন। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের নৌকাগুলো সুগন্ধা, ধানসিঁড়ি, বিষখালী ও গাবখান এই চারনদীর মোহনা থেকে শুরু হয়ে লঞ্চঘাট, পৌর খেয়াঘাট, ডিসি পার্ক হয়ে পৌর মিনি পার্ক এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। অনেকের চোখে এই প্রথম নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অসম্ভব ভালো লেগেছে বলে জানিয়েছেন।
মানুষের মনে আনন্দ দেওয়ার জন্যই সুগন্ধা নদীতে সাতটি নৌকা নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এ ধরণের প্রতিযোগিতা বভিষ্যতেও আয়োজন করা হবে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম ও পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল।ঝালকাঠির জেলা প্রশাসন এই প্রথমবারের মতো মহান স্বাধীনতা দিবসে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এ ধরণের প্রতিযোগিতা সবাইকে মুগ্ধ করেছে। পওে জেলা প্রশসনের পক্ষ থেকে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
নৌকা বাইচ দেখতে আসা ইসরাত জাহান সোনালী বলেন, স্বাধীনতা দিবসে এমন আয়োজন আমাদেও মুগ্ধ করেছে। নতুন প্রজন্ম হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য দেখতে পেওে আনন্দিত। আশা করবো এই দিনে নৌকা বাইচ যেন প্রতি বছর আয়োজন করা হয়।
সাবিক হাওলাদার বলেন, আমি জীবনে প্রথম সরাসরি নৌকা বাইচ দেখেছি। আমার অত্যন্ত ভালো লেগেছে। সাতটি নৌকা পাল্লা দিয়ে চালিয়েছেন মাঝিরা। অসাধারণ একটি সময় কেটেছে।ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম বলেন, আমরা চেষ্টা করেছে মানুষের মনে আনন্দ দেওয়ার জন্য। আমাদেও এ আয়োজনে সবাই সাড়া দিয়েছেন, আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করবো আমাদের যত অনুষ্ঠান হবে আপনারা আসবেন।