rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ ভোলায় সাড়া ফেলেছে উদ্যোক্তা ঈদ পণ্য মেলায়। বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপচেপড়া ভিড় থাকছে ক্রেতাদের। উদ্যোক্তাদের দাবি, শহরের ছোট-বড় মার্কেটের তুলনায় কম দামে পোশাক বিক্রি করায় ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোলা শহরের বাংলা স্কুল মাঠে এ মেলা বসেছে। স্টল বসেছে ২৮টি। এসব স্টলে বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ ও শিশুদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে বেশিরভাগ স্টলই নারী উদ্যোক্তাদের। এসব স্টলে শাড়ি, পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, থ্রি-পিস, ওয়ান পিসসহ ছোট ও বড়দের বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ডিজাইনের নকশি কাঁথার পাশাপাশি প্রসাধনী ও হরেক রকমের খাবার বিক্রি করছেন উদ্যোক্তরা।
সোমবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান উদ্যোক্তা ঈদ পণ্য মেলার উদ্বোধন করেন। চলবে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) পর্যন্ত।
মেলায় আসা ক্রেতা তাসরিন জেরিন, লাইজু বেগম, জান্নাত বেগম ও হারুন বলেন, ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করতে শহরের বিভিন্ন মার্কেটে গিয়েছিলাম। কিন্তু দাম বেশি দেখে উদ্যোক্তা ঈদ পণ্য মেলায় এসেছি। এখানে কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখলাম দাম কিছুটা কম। অনেক সুন্দর ডিজাইনের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। ভাবছি এখান থেকেই কেনাকাটা করবো।
ক্রেতা মাহিয়া আক্তার, সানজিদা আক্তার, সুমাইয়া মিম ও রানা বলেন, এখানে দাম তুলনামূলক কম। উদ্যোক্তারা ঈদ উপলক্ষে বাড়াননি। পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদের পোশাক কিনলাম।
কথা হয় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা প্রমিতা এ্যানি ও সুমা মজুমদারের সঙ্গে। তারা জানান, মেলার প্রথম দিন উদ্বোধনের পরে তিন ঘণ্টা স্টল খোলা রেখে বেচাকেনা করেছেন। এখন পর্যন্ত প্রমিতা এ্যানি ৩০ হাজার টাকার শাড়ি, পাঞ্জাবি, থ্রি পিস ও ওয়ান পিস এবং সুমা মজুমদার প্রায় ১০ হাজার টাকার নারীদের পোশাক বিক্রি করেছেন।
মরিয়ম মল্লিক ও তিশা জাহান জাগো নিউজকে জানান, তারা তাদের স্টলে শুধু নারীদের পোশাক বিক্রি করছেন। আগে অনলাইন ও বাড়ি থেকে সরাসরি যে দামে পোশাক বিক্রি করতেন, মেলায় এসে সে তুলনায় ২০-৫০ টাকা কমেও বিক্রি করছেন। দাম কম হওয়ায় ক্রেতার সংখ্যা বেশি।ভোলার নারী উদ্যোক্তাদের সভাপতি পাপিয়া চৌধুরী বলেন, বেশি দাম পোশাক বিক্রি করে লাভবান হওয়ার জন্য আমরা মেলার আয়োজন করিনি। মূলত জেলার উদ্যোক্তাদের পরিচিতি ও ব্যবসার প্রসার ঘটাতে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।ঈদ পণ্য মেলায় আসা উদ্যোক্তাদের সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. আরিফুজ্জামান।