rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114হামাস আগামী ১০ মার্চের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ শহরে স্থল অভিযান শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে ইসরাইল। রোববার এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজ।
তিনি বলেন, বিশ্ববাসী এবং হামাস নেতাদের অবশ্যই জেনে রাখা উচিত, যদি রমজানের আগে আমাদের জিম্মি নাগরিকরা বাড়িতে না ফেরে, তাহলে রাফাহ অঞ্চলের সর্বত্র অভিযান চলবে।
ইসরাইল এমন একটি সময় এই অভিযানের হুঁশিয়ারি দিলো, যখন রাফাহতে হামলার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিরোধিতা বাড়ছে।
চলতি বছরের ১০ৎ মার্চ ইসলামের পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে যাচ্ছে।
গাজার সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত রাফাহ শহর ফিলিস্তিনির কাছে এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, যুদ্ধ শুরুর পর বেশিরভাগ উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনি নাগরিক মিশরের সীমান্ত ঘেঁষা এই শহরেই আশ্রয় নিয়েছেন।
বর্তমানে সেখানে ১৫ লাখেরও বেশি বেসামরিক মানুষ অবস্থান করছে।
গ্যান্টজ আরও বলেন, ইসরাইল একটি সমন্বিত পদ্ধতিতে অভিযানটি পরিচালনা করবে যাতে সেখানে বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের সংখ্যা কমানো যায়। বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার সুবিধার্থে আমরা আমাদের আমেরিকান এবং মিশরীয় অংশীদারদের সাথে আলোচনা করবো।
কয়েকদিন আগে, রাফাহ শহরে বিমান হামলা চালিয়েছিল ইসরাইল। হামলার পর জাতিসংঘের জনস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল যে, সেখানকার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
অন্যদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে যে, বিমান হামলার পরের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে তারা রাফাহ শহরের উত্তরে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে যেতে চেয়েছিলো। কিন্তু তাদেরকে সেখানে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বৃহস্পতিবার ওই হাসপাতাল প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের গোয়েন্দা তথ্য ইঙ্গিত করছে যে, হামাস ওই হাসপাতালেই জিম্মিদেরকে আটকে রেখেছে।
নাসের হাসপাতালে নিজেদের অভিযানকে “সুনির্দিষ্ট এবং সীমিত” হিসাবে বর্ণনা করেছে আইডিএফ।
এদিকে, গ্যান্টজের বক্তব্যের পর ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর ফলে উদ্বাস্তুরা সীমান্ত পেরিয়ে গণহারে মিশরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরাইল-গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই রাফাহ ক্রসিং দিয়ে উদ্বাস্তুদের অনেকেই ইতোমধ্যে মিশরে আশ্রয় নিয়েছেন।
এ ধরনের ঘটনা আগেও দেখা গেছে। তাই এটি ঠেকানোর জন্য মিশর তাদের সীমান্তে একটি বড় প্রাচীর নির্মাণের চিন্তা করছে বলেও জানা যাচ্ছে।
রমজান শুরু হতে আর মাত্র তিন সপ্তাহ বাকি। রাফাহ থেকে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে যে, ইতিমধ্যেই সেখানকার উদ্বাস্তুরা পশ্চিম উপকূলের দিকে সরে যেতে শুরু করেছে।
তবে উদ্বাস্তুদের বেশিরভাগ অংশ এখনও বুঝতে পারছে না যে, তারা ঠিক কোথায় আশ্রয় নেবেন। ফলে তারা এখনও অপেক্ষা করছেন এবং পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন।