rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114গ্রীষ্ম শুরুর আগেই বসন্তের তাপ প্রবাহের সাথে বিদ্যুৎ ঘাটতি বরিশাল অঞ্চলের রোজাদার সহ সার্বিক জনজীবনে অস্বস্তি ক্রমশ বৃদ্ধি করে চলেছে। গত কয়েকদিন ধরেই সন্ধ্যায় ইফতারীর সাথেই বিদ্যুৎ ঘাটতি শুরুর পরে অনেক এলাকায় তারবীর সময়ও তা অব্যাহত থাকছে। এমনকি তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের ৩-৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস ওপরে থাকার মধ্যেই অন্ধকার আর গরমে তারাবীর নামাজ আদায় করতে গিয়ে মুসুল্লীদের দুর্ভোগ সব সীমা ছাড়াচ্ছে। শহরের চেয়ে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকাতে সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পেরিয়ে লোড সেডিং তুলনামূলক বেশী বলেও অভিযোগ রয়েছে। সাথে বিতরন ব্যবস্থার গলদে বরিশাল মহানগরী সহ সন্নিহিত এলাকাগুলোতে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিভ্রাট জনজীবনে দুর্ভোগ বৃদ্ধি করছে।
গত সোমবার বরিশাল ৩৩/১১ কেভী সাব-স্টেশনে একটি করেন্ট ট্রান্সফর্মারে আকস্মিক বিস্ফোরন থেকে অগ্নিকান্ডের পরে বরিশাল মহানগরীতে প্রায় ৪৫মিনিট বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ ছিল। ঝালকাঠী জেলা সদর সহ পুরো এলাকায় পৌনে ৩ ঘন্টা পরে বিকল্প ব্যবস্থায় সরবারহ প্রায় স্বভাাবিক করা সম্ভব হলেও বরিশাল মহানগরীর বিভিন্ন ফিডারগুলো সন্ধা থেকে কয়েকবারই ট্রিপ করে। এরমধ্যে হাতেম আলী কলেজ ফিডারটি ইফতারের পর পরই ৪বার ট্রিপ করায় রোজাদারদের দূর্ভোগের সীমা ছিল না। সুষ্ঠু রক্ষনাবেক্ষন ও যথাযথ নজরদারীর অভাবে বরিশাল মহানগরী ও সিন্নিহিত এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ বিতরন ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক পর্যায়ে। এমনকি ‘আকাশে মেঘ জমলেই এ নগরীর অনেক এলাকায়ই বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ হয়ে যায়’, এ পুরনো অভিযোগ এখনো বাস্তব সত্যি।
পল্লী বিদ্যুৎ এবং পশ্চিম জোন বিদ্যুৎ বিতরন কোম্পনী-ওজোপাডিকো’র প্রায় ১ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরিতে গত কয়েকদিন ধরে সান্ধ্য পীক আওয়ারে ৩শ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ রেশনিং করতে হচ্ছে। জ¦ালানীর অভাবে বরিশাল অঞ্চলের বেশ কয়েকটি বেসরকরী বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পূর্ণ উৎপাদনে যেতে পারছেনা। ফলে গত কয়েকদিন ধরেই সান্ধ্য পীক আওয়ার থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বরিশাল অঞ্চলে চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ রেশনিং করতে হচ্ছে। এমনকি আসন্ন গ্রীষ্মে চাহিদা বৃদ্ধির সাথে আরো নাজুক পরিস্থিতির আশংকার কথা জানিয়েছেন পিজিসিবি, ওজোপাডিকো এবং পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বশীল মহল।
তরল জ¦ালানী সংকট মোকাবেলায় বরিশালে সামিট পাওয়ার ও ইউনাইটেড পাওয়ার সহ পিডিবি’র পশ্চিম জোনে সরকারী ও আধা সরকারী বেশ কয়েকটি ইউনিটের উৎপাদন সিমিত করতে হচ্ছে বলে জানা গেছে। এর রেশ ধরে জাতীয় গ্রীড থেকে চাহিদার বিপরিতে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত রেশনিং করতে হচ্ছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে বলা হয়েছে। যা আসন্ন গ্রীষ্মে আরো বৃদ্ধির আশংকার কথাও জানিয়েছেন একাধিক দায়িত্বশীল মহল।
অথচ গ্রীষ্মের আগেই বরিশালে তাপমাত্রার পারদ ইতোমধ্যে স্বাভাবিকের ৩-৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়া বিভাগ থেকে বরিশাল অঞ্চলে প্রবাহমান মৃদু থেকে মাঝারী তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকার কথা জানিয়ে আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধির কথাও বলা হয়েছে। এমনকি জলীয় বাস্পের আধিক্যের কারণে জনজীবনে অস্বস্তি বৃদ্ধির কথাও বলেছে আবহাওয়া অফিস।
ফলে রোজাদার সহ সাধারন মানুষ অস্বস্তিকর গরমে চরম দূর্ভোগের মধ্যেই চলমান বিদ্যুৎ ঘাটতি আগামীতে আরো বৃদ্ধির বিষয়টি সুস্থ জনজীবনকে বিপন্ন করে তুলতে পারে বলে শংকিত পরিবেশবীদগনও। পাশাপাশি তাপমাত্রার আধিক্যের সাথে বিদ্যুৎ রেশনিং ঈদের কেনাকাটায়ও বিরুপ প্রভাব ফেলছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। ফরে বরিশঅল অঞ্চলে এবার ঈদ বাজারে ভাটির টান আরো এক ধাপ বৃদ্ধির আশংকার কথা বলচেণ ব্যবসায়ীগন।
অপরদিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন চলমান তাপ প্রবাহের মধ্যে বিদ্যুৎ ঘাটতির এ সময়ে ‘হিট স্ট্রোক’ এর ব্যপারে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। রোজাদারদের সম্ভব রোদ ও গরম এড়িয়ে চলা সহ ইফতারী থেকে সেহেরী পর্যন্ত ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে বেশী পরিমানে পানি পান এবং তাজা ফলমুল গ্রহনের তাগিদ দিয়েছেন।