এনায়েত করিম, নলছিটি ॥ ঝালকাঠির নলছিটিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাজী জিয়াউল হাসান ফুয়াদ (৪২) হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অপরাধে সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী জেসমিন আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( সদর সার্কেল) মো. মহিতুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ২৯ মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে উপজেলার চৌদ্দবুড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। নিহত কাজী জিয়াউল হাসান ফুয়াদ নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন। ফুয়াদ উপজেলার চৌদ্দবুড়িয়া গ্রামের সৈয়দ মকবুল হোসেন কাজীর ছেলে। পুলিশ তাকে শনিবার ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠালে বিচারক এএইচএম ইমরানুর রহমান ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরআগে গত ৭ জানুয়ারি রোববার রাত ১০ টার দিকে দোকান থেকে মেয়ের জন্য বিস্কুট কিনে বাড়ি ফেরার পথে বাড়ি সংলগ্ন চৌদ্দবুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফুয়াদ কাজীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই ফয়সাল কাজী ৮ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা আসামি করে নলছিটি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জেসমিন আক্তারের সঙ্গে ফুয়াদ কাজীর দ্বন্দ্ব চলছিল। চেয়ারম্যানের পরিকল্পনায় তার লোকজনই এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
নলছিটি থানার ওসি মো. মুরাদ আলী গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ফুয়াদ কাজী হত্যার ঘটনায় ওই চেয়ারম্যানের সংশ্লিষ্টতা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।