rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের করে দেওয়া থেকে শুরু করে হজমে সাহায্যকারী নানা উৎসেচক তৈরি, বিপাকের হার নিয়ন্ত্রণসহ একাধিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে লিভার। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে লিভারের স্বাস্থ্যের দিকে নজর ফেরাতেই হবে।
তবে মুশকিল হলো, আমাদের জীবনযাত্রা ও খাদ্য়াভ্যাসজনিত কিছু ভুলত্রুটি লিভারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি এই ভুলের কারণে বড় হয়ে যেতে পারে লিভারের আকারও। এই সমস্যার বিজ্ঞানসম্মত নাম হলো হেপাটোমেগালি।
তাই আর দেরি না করে এই সমস্যার একাধিক লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিন। আশা করছি, তাহলেই আপনি বিপদের ফাঁদে পড়ার আগেই সচেতন হবেন।
এসব লক্ষণ দেখলেই সাবধান
লিভার স্বাভাবিকের থেকে বড় হয়ে গেলে ফুলে যেতে পারে পেট। এমনকি পেটের ডানদিকের কিছুটা উপরে চিনচিনে ব্যথা হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই এ ধরনের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। এই কাজটা যত দ্রুত করবেন, তত তাড়াতাড়ি শুরু করা যাবে চিকিৎসা।
তবে সমস্যাকে অবহেলা করলে লিভারে হতে পারে প্রদাহ। সেক্ষেত্রে একাধিক উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
যকৃতে প্রদাহ হলেই চিত্তির!
তবে অনেক সময় লিভার বড় হয়ে গেলে এই অঙ্গে প্রদাহ হতে পারে। সেক্ষেত্রে এসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে বলে জানাচ্ছে ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক-
১. ক্লান্তি
২. বমি বামি ভাব
৩. খিদে চলে যাওয়া
৪. জন্ডিস
৩. ত্বকে চুলকানি
৪. প্রস্রাবের রং গাঢ় হয়ে যাওয়া বা মলের রং ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
তাই এমন কোনো উপসর্গ দেখা দিলে আর অপেক্ষা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন। নইলে যে সমস্যার শেষ থাকবে না।
নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ে এসব কারণ
১. অ্যালকোহল হেপাটাইটিস
২. টক্সিক হেপাটাইটিস
৩. ভাইরাল হেপাটাইটিস
৪. ফ্যাটি লিভার
৫. মনোনিউক্লিওসিস সহ একাধিক অসুখ।
এছাড়াও উইলসন ডিজিজ, গাউচার ডিজিজ, গ্লাইকোজেন স্টোরেজ ডিজিজ, সিকেল সেল জিজিজসহ একাধিক রোগের কারণে এই সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে।
রোগ নির্ণয় জরুরি
চিকিৎসক রোগীর লক্ষণ জেনে নিয়ে একটা ইউএসজি টেস্ট দিতে পারেন। তারপর সেই রিপোর্টে লিভারের আকার বড় থাকার ইঙ্গিত মিললে একাধিক ব্লাড টেস্ট দিতে পারেন। প্রয়োজন পড়লে লিভারের এমআরআই এবং বায়োপসিও দেওয়া হয়। তারপরই রোগের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে শুরু করা যায় চিকিৎসা।
দারুণ চিকিৎসা রয়েছে
তবে লিভার বড় হয়েছে বলে আবার বেশি ঘাবড়ে যাবেন না। বরং দ্রুত চিকিৎসা হলে অনায়াসে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাই যথাসময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। পরামর্শ মতো ওষুধ খান। তাতেই খেলা ঘুরে যাবে। ফিরবে আপনার স্বাস্থ্যের হাল।