rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙা শিল্পে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে মন্তব্য করেছেন নরওয়ে রাষ্ট্রদূত Espen Rikter-Svendsen। রোববার (৩ মার্চ) সীতাকুণ্ডের শীতলপুরের কবির শিপ রিসাইক্লিং ফ্যাসিলিটিজ পরিদর্শনকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন নরওয়ের সাবেক ক্লাইমেট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট মিনিস্টার Erik Solheimi, ঢাকার নরওয়ে দূতাবাসের সিনিয়র অ্যাডভাইজর মোরশেদ আহমেদ, কেএসআরএমের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক করিম উদ্দিন, পরিচালক আবদুল করিম দুলাল, প্রধান নির্বাহী কর্মকতা মেহেরুল করিম, গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম, ইয়ার্ড সমন্বয়ক নেভাল ইঞ্জিনিয়ার আল আমিন ও টেকনিক্যাল সমন্বয়ক পার্থ সারথী গুহ।
কবির শিপ রিসাইক্লিং ফ্যাসিলিটিজ আইএসও সার্টিফাইড, এইচকেসি ২০০৯ কমপ্লায়েন্ট গ্রিন শিপ রিসাইক্লিং ফ্যাসিলিটি ভুক্ত এবং হংকং কনভেনশন অনুসারিত নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ ফ্যাসিলিটিভুক্ত।
নরওয়ের সাবেক ক্লাইমেট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট মিনিস্টার Erik Solheimi বলেন, জাহাজ ভাঙা শিল্পে চমৎকার উন্নয়ন হয়েছে। ২০১০ সালে এ শিল্প দেখতে এসেছিলাম। বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই হংকং কনভেনশন বাস্তবায়নের জন্য।
রাষ্ট্রদূত জানান, নরওয়ে এ শিল্পের উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতা করছে। সরকারের সহযোগিতা দরকার। আমরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। নরওয়ের জাহাজ মালিকরা আগ্রহী হচ্ছেন বাংলাদেশে শিপ রিসাইক্লিং করতে।
কবির গ্রুপের সিইও মেহেরুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, গ্রিন ইয়ার্ড করার জন্য ২০১৪ সালের জুলাই থেকে কাজ শুরু করি আমরা। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক আমাদের জানিয়েছিল ইয়ার্ডের উন্নয়ন করতো হবে। তখন আমরা গ্রিন সার্টিফিকেট পেতেও কাজ শুরু করি।
২০২২ সালের অক্টোবরে প্রথম গ্রিন সার্টিফিকেট পাই। এখন তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রিন সার্টিফিকেট পেয়েছি। গ্রিন ইয়ার্ড করার খরচ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুই ধরনের খরচ। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা এবং আর্থিক বিনিয়োগ।আমরা যন্ত্রপাতি কিনেছি। জনবল প্রশিক্ষণ দিয়েছি। ৩০ কোটি খরচ হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য পরিবেশ ও জনশক্তির নিরাপত্তা।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে লোকাল মার্কেটে স্ক্র্যাপের ডিমান্ড কম। ডলারের সংকটে জাহাজ আমদানিও কম। এ সুযোগে বেশিরভাগ ইয়ার্ড ডেভেলপ হচ্ছে।
তিনি বলেন, সৌভাগ্যবশত বাংলাদেশে এ শিল্পে স্ক্র্যাপের পাত, টুকরা লোড আনলোড করছি অটোমেটিক, ম্যাকানিকাল। ৭৮০ দিনে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। সরকার থেকে সহযোগিতা দরকার। টিএসডিএফ করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটা করতে হবে।