rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ দেশের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে রাজধানী সহ সারা দেশ থেকে বরিশালের ঘর ও কর্মস্থলমুখি অন্তত ১০ লাখ মানুষের নিরাপদ ও সাচ্ছন্দ ভ্রমনে রাষ্ট্রীয় সড়ক, নৌ ও আকাশ পরিবহন সংস্থাগুলো এবারো অনেকটা নির্বিকার। ফলে এ অঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীকে পরিবার পরিজনের সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করা সহ কর্মস্থলে ফিরতে বেসরকারী সেক্টরের কাছে জিম্মী থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হচ্ছে। যাত্রীদের অভিযোগ, এসব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা দেশের জনগনের টাকায় সারা জীবন বেতন-ভাতা নিলেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সময়েও তাদের সাচ্ছন্দ ও নিরাপদ ভ্রমন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সেচ্ছা অন্ধত্বে ভোগেন। ফলে জনগনের দূর্ভোগ সব সীমা ছাড়িয়ে গেলেও সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অনেকটাই নির্বিকারই থাকছে। অথচ ঈদের আগে ও পরে রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থাগুলো সড়ক, নৌ ও আকাশ পথে কিছু বাড়তি যানবাহনের ব্যবস্থা করলে পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তনের পাশাপাশি ঘর ও কর্মস্থরমুখি বিশাল জনগোষ্ঠীর কিছুটা হলেও নিরাপত্তা ও সাচ্ছন্দ নিশ্চিত করা যেত। পাশাপাশি বেসরকারী পরিবহন সেক্টরের সেচ্ছাচারিতা থেকেও মানুষের রেহাই মিলত।
এবারো রাষ্ট্রীয় সড়ক পরিবহন সংস্থা-বিআরটিসি’র বরিশাল বাস ডিপো থেকে আসন্ন ঈদ উল ফিতরের আগে-পরে কোন বিশেষ বাস সার্ভিস প্রবর্তন করা সম্ভব হচ্ছেনা সচল বাসের অভাবে। ডিপোটিতে ৭০টি যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে ‘অচল ও চলাচল অযোগ্য’ ১৬টি ইতোমধ্যে বিক্রী হয়ে গেছে। অবশিষ্ট ৫৪টি বাসের ৫২টি বরিশাল-ঢাকা ছাড়াও এ বিভাগীয় সদর থেকে খুলনা, যশোর, রংপুর,রাজশাহী সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত যাত্রী পরিবহন করলেও আসন্ন ঈদের আগে-পড়ে বাড়তী যাত্রী পরিবহনের মত কোন বাস ডিপোটির হাতে নেই। দেশের অন্যতম লাভজনক এ বাস ডিপোটিতে গত দু বছরেও কোন নতুন-পুরাতন যাত্রীবাহী বাস সরবারহ করেনি সংস্থাটির সদর দপ্তর। ফলে ১৮টি বাতানুকুল ও ৩৬টি দীর্ঘদিনের পুরনো বাস দিয়েই যাত্রী সেবা (?) করছে রাষ্ট্রীয় সড়ক পরিবহন সংস্থাটি।
তবে এ ব্যপারে বিআরটিসি’র বরিশাল ডিপো ব্যবস্থাপক জানান, ‘আমাদের বাড়তি কোন গাড়ী না থাকলেও বিদ্যমান বাস দিয়েই অতিরিক্ত ট্রিপে যাত্রী পরিবহনের চেষ্টা করব’।
এদিকে রাষ্ট্রীয় নৌ-বানিজ্য সংস্থা বিআইডব্লিউটিসি করোনা মহামারীর আগে থেকেই যাত্রী সেবা খাতে হাত গোটানোর পর থেকে গত ৪ বছরেও ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে দেশের একমাত্র অভ্যন্তরীণ রকেট স্টিমার সার্ভিসটি আর চালু করার কোন উদ্যোগ নেয়নি। ফলে আসন্ন ঈদের অগে পরে রাজধানী সহ চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে চাঁদপুর হয়ে বরিশাল অঞ্চলের যাত্রীরা বেসরকারী নৌযান মালিকদের সেচ্ছচারিতার কাছেই জিম্মি হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টগন। এমনটি গত কুড়ি বছরে রাষ্ট্রীয় নৌ বানিজ্য প্রতিষ্ঠানটি বরিশাল-চট্টগ্রাম রুটের কথা বলে সরকারী শতাধিক কোটি টাকায় উপক’লীয় দুটি নৌযানের পূণর্বাশন ছাড়াও ‘এমভি বার আউলীয়া’, ‘এমভি তাজউদ্দিন আহমদ’ ও ‘এমভি আইভি রহমান’ নামের ৩টি নতুন নৌযান সংগ্রহ করেছে। কিন্তু ২০১১’র মে মাস থেকে বরিশাল-চট্টগ্রাম রুটে উপক’লীয় স্টিমার সার্ভিসটি বন্ধ রয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় আকাশ পরিবহন সংস্থা-বিমান পদ্মা সেতু চালুর পরে যাত্রী সংকটের ধুয়া তুলে বরিশাল সেক্টরে নিয়মিত ফ্লাইট সপ্তাহে ৩দিনে হ্রাস করে। কিন্তু ব্যাপক যাত্রী চাহিদার পরেও গত বছরাধিককাল ধরে বরিশাল সেক্টরে ফ্লাইট বাড়ানোর কথা বলা হলেও ৩১ মার্চ থেকে মাত্র ১টি ফ্লাইট বৃদ্ধি করা হচ্ছে। অথচ ব্যাপক চাহিদার কারণেই বরিশাল-ঢাকা আকাশ পথে ৩২শ টাকার টিকেট এখন বিমান বিক্রী করছে ৮,৬০০ টাকায়। এমনকি আসন্ন ঈদ উল ফিতরের আগে-পরেও সরকারী আকাশ পরিসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বরিশাল সেক্টরের যাত্রীগন।
এ ব্যাপারে সোমবার বিমান-এর বরিশাল সেলস অফিসের জেলা ব্যবস্থাপকের টেলিফোনে কল করেও কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে সেলস কাউন্টারে যোগাযোগের পরে ‘আসন্ন ঈদ উল ফিতরের আগে-পরে বরিশাল সেক্টরে কোন বিশেষ ফ্লাইট নেই’ বলে জানান হয়েছে। তবে বিমান-এর অপর একটি সূত্র থেকে ঈদের আগে আগামী ৮ ও ১০ এপ্রিল বরিশাল সেক্টরে দুটি বিশেষ ফ্লাইট বরিশাল-ঢাকা আকাশ পথে চলবে বলে জানান হয়েছে। তবে বিষয়টি সম্পর্কে বরিশাল সেলস অফিসের কোন নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। তবে ঈদের আগে এ দুটি বিশেষ ফ্লাইট চললেও ঈদ পরবর্তি সময়ে রাষ্ট্রীয় আকাশ পরিবহন সংস্থাটি হাত গুটিয়ে থাকছে বলেই জানা গেছে।