আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

সর্বজনীন পেনশন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৪ ৬:২৭ অপরাহ্ণ সর্বজনীন পেনশন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য
Spread the love

সর্বজনীন পেনশনে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশনে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। আগামী ১ জুলাই বা তার পরবর্তী সময়ে যারা চাকরিতে যোগদান করবে তাদের পেনশনে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

বুধবার (২০ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, চলতি মাসের ১৩ মার্চ সরকারের জারিকৃত এস.আর.ও. নং-৪৭-আইন/২০২৪ এর মাধ্যমে সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী ১ জুলাই ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন যোগদান করবেন তাদেরকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনের অন্তর্ভূক্ত করেছে।

এছাড়া, গত ১৩ মার্চ জারিকৃত এস.আর.ও. নং-৪৮-আইন/২০২৪ এর মাধ্যমে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য প্রত্যয় স্কিমের রুপরেখা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিম চালুর ফলে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদ্যমান কর্মকর্তা/কর্মচারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না এবং তাদের বিদ্যমান পেনশন/আনুতোষিক সুবিধা অক্ষুন্ন থাকবে। তবে যাদের ন্যূনতম ১০ বছর চাকরি অবশিষ্ট আছে তারা আগ্রহ প্রকাশ করলে প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অবসর জীবনে মাসিক পেনশন প্রাপ্য হবেন বিধায় ১ জুলাই ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন যোগদানকৃত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

মন্ত্রণালয় আরো জানায়, বিদ্যমান ব্যবস্থায় খুব কম সংখ্যক স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোর পেনশন স্কিম চালু রয়েছে। এ ধরনের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীরা আনুতোষিক স্কিমের আওতাভুক্ত এবং তাদের জন্য সিপিএফ ব্যবস্থা প্রযোজ্য। এ ব্যবস্থায় কর্মচারীরা চাকরি শেষে অবসর সুবিধা হিসেবে এককালীন আনুতোষিক প্রাপ্য হন, কিন্তু মাসিক কোনো পেনশন প্রাপ্য হন না। এর ফলে অবসরোত্তর জীবনে প্রায় ক্ষেত্রেই আর্থিক অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হন। কর্মচারীদের অবসরোত্তর জীবনের আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা দিতে বিদ্যমান ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে সরকার ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রবর্তন করেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, প্রত্যয় স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রাপ্ত মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। যা কম হয় তা কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বেতন হতে কর্তন করা হবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে দিতে হবে। উভয় অর্থ এই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত উক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীর কর্পাস হিসাবে জমা করবে। এ প্রক্রিয়ায় এই কর্মকর্তা-কর্মচারীর পেনশন ফান্ড গঠিত হবে এবং উক্ত ফান্ড জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লাভজনক খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রাপ্য মুনাফা এবং চাঁদা হিসেবে জমাকৃত অর্থের ভিত্তিতে পেনশন প্রদান করা হবে।