rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে সপ্তাহে একদিন করে বসেন তিনজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। সপ্তাহে একদিন কর্মস্থলে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে পছন্দের ক্লিনিক, প্রাইভেট হাসপাতালে চেম্বার করার অভিযোগ রয়েছে।
এই বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা হলেন গাইনি কনসাল্টেন্ট ডা: ইন্দ্রানী কর, নাক,কান গলা (ই,এন,টি) ডা: শরীফুল ইসলাম, সার্জারি ডাক্তার মো: মশিউর রহমান। তারা সবাই নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে পৃথক পৃথক বিশেষজ্ঞ পোষ্টে চাকরি করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকা স্বত্ত্বেও রোগীদের বিভিন্ন ক্লিনিক, প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে মোটা টাকার ফি দিয়ে ডাক্তার দেখাতে হচ্ছে। নিয়মিত তারা হাসপাতালে না আসায় গরীব রোগীরা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ১০জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পদ রয়েছে এরমধ্যে ৭জনের পোষ্ট খালি রয়েছে এক যুগেরও বেশি সময় । বাকি ৩জনের পোষ্ট এখানে থাকলেও তারা মাসে তিন থেকে চার দিনের বেশি আসেনা বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নাম না প্রকাশ শর্তে হাসপাতালের এক সিনিয়র নার্স জানান, এখানে বিশেষজ্ঞ ৩জন ডাক্তারের কেহ নিয়মিত কর্মস্থলে আসেনা। গাইনি বিভাগের ডাক্তার ইন্দ্রানী কর প্রতি সপ্তাহের রবিবার একদিন আসেন হাসপাতালে। রবিবার দুপুরে এসেই চলে যান উপজেলার আবেদ আলী প্রাইভেট হাসপাতালে।
শুক্রবার চেম্বার করেন উপজেলার সন্ধ্যা নদীর পশ্চিম পাড়স্থ জাহানারা ক্লিনিকে। বাকি দিনগুলো কোথায় বসেন তা কারো জানা নেই। নাক কান গলা (ই,এন,টি) ডাক্তার শফিকুল ইসলাম রুমেন আসেন সপ্তাহের প্রতি বুধবার। বাকি দিনগুলো তিনি হাসপাতালে আসেননা। এছাড়া সর্জারি ডাক্তার মশিউর রহমান তিনি হাসপাতালে আসেন প্রতি মঙ্গলবার। বাকি ছয়দিন কোথায় বসেন তা হাসপাতালের কারো জানা নেই।
নেছারাবাদ উপজেলা হাসপাতালে কর্মস্থল থাকা স্বত্ত্বেও সপ্তাহে একদিন হাসপাতালে এসে অফিস করার কারন জানতে চাইলে নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শফিকুল ইসলাম রুমেন বলেন, আমি যে মাপের ডাক্তার তাতে এখানে আমার পোষায়না। তারপরও একদিন এসে অনেক রোগী দেখি। আমি বদলি নিয়ে বরিশাল শহরে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
তাদের সাথে কথা বলার জন্য আজ দুপুরে নেছারাবাদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে ওই ৩ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের চেম্বার তালাবদ্ধ ছিল।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: ফিরোজ কিবরিয়া বলেন, তাদের কর্মস্থল এখানে থাকা স্বত্ত্বেও তাদের তিনজনের সবাই সপ্তাহের একদিন অফিস করেন। তাদের নিয়মিত অফিস করার জন্য বার বার তাগিদ দিলেও তারা বিষয়টি আমলে নিচ্ছেননা বলেন জানান ওই কর্মকর্তা।