rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে আবারও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে। দীর্ঘ ৫ বছর কীর্তনখোলা নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি আবারও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেছে প্রভাবশালীরা। অবাধে বালু উত্তোলন করায় নদীর বিভিন্ন স্থানে তীর ধসে পড়ছে। এতে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কীর্তনখোলা নদীর সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের গিলাতলী, চরবাড়িয়া, পশুরীকাঠী এলাকা থেকে গত কিছুদিন ধরে ড্রেজার দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪টি ড্রেজার দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ টি বাল্কহেড বোঝাই করে বালু লুট করছে তারা। চক্রটি স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।
অবাধে বালু উত্তোলন করায় নদীর দুই পাশে মাটি ধসে পড়ছে। এতে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা চরম আতংকে রয়েছেন।
ভুক্তভোগী বাসিন্দারা জানান, সিটি করপোরশেনের কঠোর অবস্থানের কারণে কীর্তনখোলা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। এতে স্বস্তিতে ছিলেন নদী তীরের বাসিন্দারা। সম্প্রতি প্রভাবশালীরা সদর উপজেলার গিলাতলী, চরবাড়িয়া ও পশুরীকাঠী এলাকায় কোন ধরনের বাধা ছাড়াই কীর্তনখোলা নদী থেকে বালু উত্তোলন শুরু করেন। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবাধে বালু লুট করছেন তারা। এতে নদীর তীরে ধস নামছে। ড্রেজার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। স্থানীয় প্রশাসনও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে নদীর দুই তীরের পরিবেশ এবং জীব বৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে আশংকা তাদের।
এ বিষয়ে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার বলেন, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা অবৈধ। কীর্তনখোলা নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।