বরিশালের বাকেরগঞ্জে নির্দিষ্ট বাসস্ট্যান্ড না থাকায় মহাসড়কেই যাত্রীরা ওঠা-নামা করছে। এতে সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। প্রায়ই দুর্ঘটনার ফলে জানমালের ক্ষতি সাধন হচ্ছে, ঘটেছে একাধিক মৃত্যুর ঘটনাও। রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজি, মাইক্রোবাস, বাস এলোপাতাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় রাস্তার উপরেই।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্রীমন্ত নদীর ব্রিজের একেবারে ঢালে বরগুনা, পটুয়াখালী ও বাকেরগঞ্জের ত্রিমুখী রাস্তার সংযোগস্থলে মহাসড়কেই মূলত যাত্রীরা ওঠা-নামা করছে। পণ্যবাহী ট্রাক বা অন্য যানবাহনও মালামাল নামাচ্ছে একই জায়গায়। ফলে প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকে।
এ সময় কথা হয় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুর রহমানের সাথে তিনি জানান, ‘বাকেরগঞ্জ থেকে বরিশালে অনেক ছাত্র-ছাত্রী যাতায়াত করে। নির্দিষ্ট কোনো বাসস্ট্যান্ড না থাকায় মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থেকে বাসে উঠতে হয় তাদের যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।’
বাসচালক আনোয়ার হোসেন জানান, ‘বাকেরগঞ্জে গাড়ি পার্কিং কিংবা যাত্রী ছাউনি না থাকায় মহাসড়কেই যাত্রীদের ওঠা-নামা করাতে হচ্ছে।’ কাঁচামাল বহনকারী মিনি ট্রাক ড্রাইভার রাজিব মোল্লা বলেন, ‘লোড-আনলোডের নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকায় আমাদের মহাসড়কের পাশেই মালামাল নামাতে হয়।
তাছাড়া দূরপাল্লার ট্রাক ও পরিবহন চালকদের বিশ্রাম নিতে হলেও মহাসড়কের একপাশে গাড়ি রেখেই বিশ্রাম নিতে হয়।’বাকেরগঞ্জ থেকে প্রতিদিন বরিশাল যাতায়াত করতে হয় এমন একজন চাকরিজীবী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বাকেরগঞ্জে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে একটি বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি।’
বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শূকলা রানী বলেন, ‘আমাদের কলেজটি বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের সাথে। কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত কলেজে আসতে এ মহাসড়কটি পার হতে হয়। তাছাড়া নির্দিষ্ট বাসস্ট্যান্ড না থাকায় গাড়ি কলেজের সামনে থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করানো হয়।’
বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) আব্দুল হাফিজ মল্লিক বলেন, ‘জনদুর্ভোগের বিষয়টি আমি জেনেছি। নির্ধারিত স্থানে বাসস্ট্যান্ড ও যাত্রী ছাউনি নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে যত দ্রুত সম্ভব এ সমস্যার সমাধান করতে পারব বলে আশা রাখি।’