বার্তা ডেস্ক ॥ বরগুনার আমতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আলী হাওলাদার (১৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এছাড়া পৃথক আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো চারজন।মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে আমতলী-কুয়াকাটা ও আমতলী-তালতলী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় গুরুতর আহত তিনজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, আমতলী পৌরসভার লোচা গ্রামের মোশাররফ হাওলাদারের ছেলে আলী হাওলাদার (১৮) বাড়ি থেকে নিজের মোটরসাইকেল চালিয়ে শহরের একটি পার্সের দোকানে যাচ্ছিলেন। একই দিক থেকে ঢাকাগামী ইসলাম পরিবহন নামের একটি বাস আসতেছিল। পথে সড়কের সৈকত ফিলিং ষ্টেশন দ্রুত অতিক্রম করতে গিয়ে ঘাতক বাসটি পিছন থেকে মোটরসাইকেলটিকে চাপায় দেয়। এতে ঘটনাস্থলে আলী হাওলাদার মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে (আলী হাওলাদার) উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে এবং ঘাতক বাসটি জব্দ করে। তবে ঘটনার পরই বাসটির চালক ও হেল্পার পালিয়ে গেছে।
আলী হাওলাদার তার চাচাতো ভাই জাহিদ হাওলাদারের পার্সের দোকানে কাজ করতেন।
অন্যদিকে, আমতলী-তালতলী সড়কের তারিকাটা নামক স্থানে মোটরসাইকেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চালকসহ চারজন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত তামিম, মেহেদী হাসান ও রিফাতকে সংঙ্কটজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, ঘাতক ইসলাম পরিবহন বাসটি পিছন থেকে মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার গোলাম রাব্বি বলেন, নিহত আলী হাওলাদারকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। অপর আহত চারজনের তিনজনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ঘাতক বাসটি জব্দ করা হয়েছে এবং তার লাশ উদ্ধার করে।