বরিশালে লঞ্চ কতৃপক্ষের অবহেলায় নিখোঁজ জেলে!
রুপন কর অজিত: বরিশালে লঞ্চের প্রপোলারে আটকে নিখোঁজ হয়েছে এক জেলে। ঘটনাটি ঘটে সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১২টায় বরিশাল নগরের লঞ্চঘাটে। নিখোঁজ জেলে ৯নং ওয়ার্ডের সোবাহান ফকিরের ছেলে আবেদ আলী (২৮)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে পারাবাত ১১ লঞ্চের পিছনে জাল ফেলে মাছ ধরছিলেন জেলে আবেদ আলী ও তার স্ত্রী। এমন সময়ে পারাবাত ১১ লঞ্চের ইঞ্জিন চালু করলে প্রপোলারে জাল সহ আবদে আলী পেঁচিয়ে তলিয়ে যায় ।তখন তার স্ত্রী ডাকচিৎকার করলেও পারাবাত লঞ্চের ইঞ্জিন বন্ধ না করায় নিখোঁজ হয় আবেদ আলী। নিখোঁজ আবেদ আলীর স্ত্রী রুমা জানান ,দুপুর ১২টা দিকে পারাবাত লঞ্চের পিছনে নৌকায় আমি ও আমার স্বামী জাল ফেলে মাছ ধরতে ছিলাম। একপর্যায় জাল থামানো পারাবাত ১১ লঞ্চের পাখায় আটকে যায়। ঐসময় লঞ্চের পাখা থেকে জাল ছাড়াতে যায় আমার স্বামী। ঠিক তখনই লঞ্চের পাখায় বেধে সে তলিয়ে যায়।তারপর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। এঘটনায় নিখোঁজ আবেদ আলীর ভাই জানান, পারবাত লঞ্চটি রাত ৮.৩০ এ ছাড়ে প্রতিদিন। লঞ্চের স্টাফদের বলা হয়ছে যে পিছনে নৌকা রয়েছে আপনারা ইন্জিন চালুদিয়েন না একটু সরানোর সময় দিন। এসময় তারা আমার ভাইয়ের বৌকে বকাঝকা দেয়।একপর্যায় তারা ইঞ্জিন চালুদেয় ফলে প্রপোলারে জাল সহ আমার ভাই পেঁচিয়ে যায়। এঘটনায় তিনি লঞ্চের স্টাফদের অবহেলাকে দায়ী করে জড়িতদের বিচার দাবি করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকেই পারাবাত লঞ্চের কোনো সদস্যদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা বলেও জানিয়েছেন নিখোঁজ পরিবার। অন্যদিকে নিখোঁজের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও বরিশাল নৌ পুলিশ উদ্ধার অভিযানে নামে। বরিশাল নদী ফায়ার ষ্টেশন লিডার শেখ নজরুল ইসলাম জানান,দুপুর ১২ টার দিকে আমরা সংবাদ পাই মাছ ধরতে গিয়ে এক লোক পানিতে পরে গিয়েছে।সাথে সাথে আমরা এসে ৬জন ডুবুরি নিয়ে অভিযান চালাই।অভিযানের ঘন্টা ২ পরে ডান পায়ের কিছু অংশ আমরা খুজে পাই। তিনি আরো জানান,শরীরে বাকি অংশ না পাওয়া অব্দি তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এবিষয় বরিশাল নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল জানান, ঘটনার শুনে আমাদের টিম ঘটনা স্থলে উপস্থিত হই। ডুবে যাওয়া ব্যক্তিকে উদ্ধারের তৎপরতা চলছে।তবে এখন পর্যন্ত তার একটি বিচ্ছিন্ন পায়ের অংশ পাওয়া গেছে। যত সময় ডুবে যাওয়া ব্যক্তিকে খুজে না পাওয়া যায় তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকব বলেও জানান তিনি।