rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মেয়ের বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী। এ ঘটনায় ওই নারী সোমবার পিরোজপুর নারী ও শিশু আদালতে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ডিবি পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে ২৫ ফেব্রুয়ারি। আসামিরা হচ্ছে- উপজেলার উত্তর মিঠাখালী ২নং ওয়ার্ড আলম ডাক্তার বাড়ির নজরুল ইসলামের ছেলে আলিফ, সাইফুল ইসলাম খোকনের ছেলে তীব্র ও হেমায়েত হাওলাদারের ছেলে রিয়াজুল।
ওই নারী পূর্বপরিচিত কথিত ঘটক আলমগীর ওরফে আলেয়া বেগমকে (হিজড়া) সঙ্গে নিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকালে ঝুলঝুড়ি গ্রামের একটি সড়কে দাঁড়িয়ে পরিচয় গোপন রেখে মেয়ের হবু পাত্রের সঙ্গে কথা বলেন। আলাপচারিতায় সন্ধ্যা হয়ে যায়। দ্রুত বাসায় ফেরার জন্য দুজন একটি মাঠ পাড়ি দিয়ে ছোট সড়কে ওঠেন।
সেখানে আলিফের সঙ্গে দেখা হলে আলিফ তাদের প্রধান সড়কে দ্রুত ওঠার জন্য বাগানের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বাগানে প্রবেশ করার পর তীব্র এবং রিয়াজুল তাদের পথরোধ করে। পরে আলেয়াকে আটকে রেখে ওই নারীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে।
মামলা করতে ১ মাসের বেশি লাগল কেন? এ প্রশ্নের জবাবে ভিকটিম বলেন, আসামি আলিফ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার চাচাতো ভাই, তীব্র ভাতিজা ও রিয়াজুল প্রতিবেশী। মামলা না করার জন্য তিনি আমাকে ভয় দেখিয়েছেন, সে কারণে দেরি হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শফিকুল আলম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন, এ বিষয়ে তার কিছু জানা নেই।