আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

ঝালকাঠিতে নষ্ট হচ্ছে শত শত গাছ


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৪ ৭:৪৪ অপরাহ্ণ ঝালকাঠিতে নষ্ট হচ্ছে শত শত গাছ
Spread the love

বার্তা ডেস্ক ॥  ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার খাজুরতলা থেকে শিমুলতলা জুরকাঠি সড়ক নির্মাণে দুই পাশের সারি সারি গাছগুলো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক্সকেভেটর দিয়ে উপড়ে ফেলেছেন।ফলে রাস্তার দুই ধারে পড়ে থাকা গাছগুলো রোদ–বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে। গাছগুলো বিক্রি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার সরকারি সম্পদ।

জানাগেছে, রাস্তা নির্মানে গত বছরের মার্চের ৬ তারিখ গাছ অপসারণের জন্য বিভাগীয় বনকর্মকর্তা আব্দুল আউয়ালের বরাবর চিঠি দেন নলছিটি উপজেলা প্রকৌশলী।বনবিভাগ ৪১৪ টা ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মার্কিং করেন। যথযময়ে গাছগুলো না সরানোর কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক্সকেভেটর দিয়ে গাছগুলো উপড়ে রাস্তার পাশে ফেলে রাখেন। বর্তমানে সেগুলো রাস্তার পাশে জমিতে ও খালে পড়ে নষ্ট হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা এ সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বনবিভাগের গাফিলতির কারনে এভাবেই শতশত গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এগুলো যদি এখনো উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিলে তাহলে কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে।এভাবে সরকারি কোটি টাকা সম্পদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তা আমরা মানতে পারছি না। বনবিভাগের অবহেলার কারণে এমনটা হচ্ছে। মার্কিং করে যাওয়ার পর তাদের কোন খোঁজ খবর নাই। সড়ক প্রশস্তকরণে ঠিকাদারের কাজের মেয়াদ শুরু হওয়ায় উপায়ন্তর না পেয়ে রাস্তার ঠিকাদার এক্সকেভেটর দিয়ে গাছগুলো উপড়ে ফেলে কাজ শুরু করেন। অধিকাংশ গাছ লুটপাট হয়ে যাচ্ছে।

নলছিটি উপজেলা বনকর্মকর্তা মো.সহিদ উদ্দিন বলেন,এলজিইডি থেকে আমাদের একটি চিঠি দিয়েছে। চিঠি দেওয়ার ১ থেকে দেড় মাসের মধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে।কিন্তু গাছ মার্কিং করে হিসাব করে বিভাগীয় বনকর্মকর্তা বরাবর রিপোর্ট দেওয়া লাগবে। এরপর টেন্ডার হয়ে গাছগুলো অপসারণ করা হবে। কিন্তু সেই সময় আমাদের না দিয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। এ বিষয়ে আমি আমার উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবগত করেছি।

কারণ গাছ টেন্ডার দেওয়ার ক্ষমতা আমার নাই। আমি বারবার তাদের চিঠি দিয়েছি। গাছগুলো সংগ্রহ করতে অনেক খরচের ব্যাপার। আমাদের যদি সরকারি বাজেট দেন তাহলে গাছগুলো সংগ্রহ করতে পারবো। এ বিষয়ে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.নজরুল ইসলাম বলেন,উপজেলা বন কর্মকর্তাকে দ্রুত সমাধানের জন্য বলা হয়েছে। । এর আগে যে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ছিলেন ওনি নাই নতুন যে এসেছেন তার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে।