rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114ভোলার লালমোহনে চলমান দাখিল পরীক্ষায় তিন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে না পারায় নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
শুক্রবার লালমোহন থানায় তিন পরীক্ষার্থীর পক্ষ থেকে এ মামলা করেছেন বাউরিয়া গ্রামের এক ছাত্রীর দাদা মোহাম্মদ আলী।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দাখিল পরীক্ষার প্রথম দিনে পরীক্ষা দিতে আসে করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার তিন ছাত্রী। তারা হলো মুনতাহা, সোনিয়া আক্তার ও মোসা. সালমা আক্তার।
তারা জানায়, পরীক্ষা দিতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল আমিনের চাহিদামতো রেজিস্ট্রেশন, ফরম ফিলাপ ও প্রবেশপত্রের ফিসহ সর্বমোট ১২ হাজার টাকা করে দিলেও তাদের নামে রেজিস্ট্রেশন ও এডমিট কার্ড আসেনি। পরে ওই শিক্ষার্থীদের হাতে অন্য তিন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র দিয়ে পরীক্ষায় বসতে কেন্দ্রে পাঠান অধ্যক্ষ। তারা পরীক্ষাকেন্দ্রে এসে অন্যের নামে পরীক্ষায় বসলে প্রক্সি হবে এবং ধরা পড়লে জেল-জরিমানা হবে, এমন শঙ্কায় কেন্দ্রে ঢুকেননি।
এমন ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল আমিন ওই শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেন। এই তিন ছাত্রীর হাতে যাদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও এডমিট কার্ড দিয়ে পরীক্ষা দিতে পাঠানো হয়েছে, সেই প্রকৃত পরীক্ষার্থীদেরও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
তবে একদিন পর অধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল আমিন ও অফিস সহকারী মো. ওবায়েদের বিরুদ্ধে শুক্রবার লালমোহন থানায় প্রতারণার মামলা করেন প্রতারণার শিকার ছাত্রী মুনতাহার দাদা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. রুহুল আমিনের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
লালমোহন থানার ওসি মাহবুব-উল-আলম জানান, করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।