পটুয়াখালীর দুমকিতে মো. সিয়াম (১২) নামে ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে জঙ্গলে নিয়ে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোর গ্যাংয়ের নেতা মো. রিফাত নামে এক কিশোরের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তেঁতুলবাড়িয়া নামক এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জসিম শিকদারের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে সিয়াম এবং তার সহপাঠী কিশোর গ্যাংয়ের নেতা রিফাত ছোটবেলা থেকেই পাঙ্গাশিয়া নলদোয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একসঙ্গে ক্লাস পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে সিয়াম লেবুখালী সরকারি হাবিবুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র।
অভিযুক্ত রিফাত পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কাঞ্চন হাওলাদারের মেয়ের ঘরের নাতি। ছোট থেকেই রিফাত নানাবাড়িতেই থাকেন। তাই সিয়াম ও রিফাতের বসবাস পাশাপাশি এলাকায়। বর্তমানে সিয়াম অন্য প্রতিষ্ঠানে পড়লেও সহপাঠী হিসেবে সিয়াম ও রিফাতের মধ্যে মোটামুটি একটা বন্ধুসুলভ সম্পর্ক ছিল।
আহত সিয়ামের বাবা জসিম সিকদার বলেন, গত কয়েক দিন ধরে সিয়াম ও রিফাতের মধ্যে একটা ঘনিষ্ঠতা লক্ষ করেছি, তবে ওদের মধ্যে কোনো সময় ঝগড়াঝাটি হয়নি। তবে শুনেছি রিফাত কিশোর গ্যাংয়ের নেতা। শুক্রবার সন্ধ্যায় সিয়ামকে ডেকে অটোরিকশায় করে তেঁতুলবাড়িয়া নামক এলাকার এক নির্জন স্থানে নিয়ে যায় এবং সেখানে নিয়ে সিয়ামকে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় ছুরি দিয়ে জবাই দেওয়ার চেষ্টা করলে সিয়াম চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন টের পেলে রিফাত পালিয়ে যায়। আহতাবস্থায় সিয়ামকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী হসপিটালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার করেন। বর্তমানে সিয়াম ঢাকার আগারগাঁও জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
দুমকি থানার ওসি তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি, তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।