rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥
ভারতে শনাক্ত করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধে টিকা কাজ করছে বলে এনডিটিভি অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। করোনার সংক্রমণে নাস্তানাবুদ ভারতের জন্য একে একটি সুখবর হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এ-সংক্রান্ত একটি খারাপ খবরও আছে। আর তা হলো ভারতে শনাক্ত করোনার নতুন এ ধরনই একমাত্র সংস্করণ নয়। আরও নানা ধরন আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। করোনাভাইরাস প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়। পরিবর্তিত হয়ে নিজের নতুন নতুন ধরন তৈরি করে। তাই ভারতে করোনার সম্ভাব্য আরও নতুন ধরন দ্রুত চিহ্নিত করার ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার ভারতীয় ধরনটি ‘বি.১.১৬৭’ নামে পরিচিত। এ ধরনটিকে অতি সংক্রামক বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতে করোনার সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে এ ধরন ভূমিকা রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির জন্য তিনটি কারণ উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তার মধ্যে একটি হলো করোনার অতি সংক্রামক ধরনের বিস্তার। ভারতে গত মার্চের মাঝামাঝিতে এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২০ হাজারের কাছাকাছি। তারপর লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। ৩ এপ্রিল ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটির মাইলফলক ছাড়ায়। গত ৩০ এপ্রিল ভারতে প্রথম এক দিনে চার লাখের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়। গতকাল বুধবার দেশটিতে এক দিনে করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড হয়েছে। গতকাল ৪ লাখ ১২ হাজার ২৬২ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিন দেশটিতে করোনায় রেকর্ডসংখ্যক ৩ হাজার ৭৮০ জন মারা যান। করোনার ভারতীয় ধরনটি বাইরের দেশেও ছড়িয়েছে। দিন কয়েক আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, ভারতে প্রথম শনাক্ত বি.১.১৬৭ নামের করোনার ধরনটি বিশ্বের এক ডজনের বেশি দেশে পাওয়া গেছে। করোনার নতুন নতুন ধরন শনাক্তের ক্ষেত্রে ভারতের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ সীমাবদ্ধতার দিকটিকে উদ্বেগজনক বলছেন বিজ্ঞানীরা। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের সাবেক অধ্যাপক উইলিয়াম হ্যাসেলটাইন বলেন, করোনার ভারতীয় বি.১.১৬৭ ধরনের দ্বিতীয়, এমনকি তৃতীয় প্রজন্মের সংস্করণ ইতিমধ্যে দেশটিতে ছড়িয়ে থাকতে পারে। এগুলো আরও বিপজ্জনক হতে পারে। এ অবস্থায় করোনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সক্ষমতা ভারতের দরকার বলে মনে করেন চিন্তক প্রতিষ্ঠান এক্সেস হেলথ ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক উইলিয়াম। একই সঙ্গে করোনার নতুন নতুন ধরনের বিষয়ে ভারতের গণপর্যবেক্ষণ কার্যক্রম দরকার বলে মত তাঁর।