Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rocket domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
নিত্যপন্যের উর্ধগতিতে দিশেহারা নগরবাসী! - আজকের বার্তা
আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

নিত্যপন্যের উর্ধগতিতে দিশেহারা নগরবাসী!


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: মার্চ ০২, ২০২৪ ১:১০ পূর্বাহ্ণ নিত্যপন্যের উর্ধগতিতে দিশেহারা নগরবাসী!
Spread the love

রুপন কর অজিতঃ নিত্যপণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। রোজকার চাহিদা পূরণে গুনতে হচ্ছে পণ্যের অস্বাভাবিক দাম। নিত্যপণ্যের এই মূল্যবৃদ্ধি বিপাকে ফেলেছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে। অধিক দামে পণ্য কেনার ক্ষমতা দেশের বেশির ভাগ মানুষেরই নেই। এ কারণে বাধ্য হয়ে অনেককেই কমাতে হচ্ছে দৈনন্দিন বাজার খরচ।

বরিশালে সরজমিনে বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, নগরীর প্রতিটি বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। রমজান আসার আগেই ব্যবসায়ীরা প্রতিটি পণ্যের দাম একদফা বাড়িয়ে ফেলেছে।

বর্তমান বাজার রোডে প্রতিকেজি চাল মিনিকেট ৭৫ টাকা,চাল মোটা ৬০ টাকা,পেয়াজ ১২০ টাকা,রসুন ২২০, চায়না রসুন ২০০ টাকা,আদা ২০০ টাকা,জিরা কেজি ৮৫০ টাকা,ধনিয়া ২৮০ টাকা,চিনি ১৪০ টাকা,আলু ২৫ টাকা,বুট ১০০ টাকা,খেসারী ১১০ টাকা,সাদা মটর ৮০ টাকা,আটা ৪৫ টাকা,ময়দা ৬০ টাকা,সয়াবিন তেল ১৭০ টাকা।

এছাড়া নতুন বাজারে সবজি প্রতি ৪ থেকে টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বেগুন ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা, সিম ২০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, করলা ১৬০ টাকা,বরবটি ১০০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা এবং লেবু হালি প্রতি ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩১০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকা, গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ টাকা এবং লালা ডিম প্রতি হালি ৪৫ টাকা দরে বিক্রি করছে।

গরম রয়েছে মাছের বাজারও।

ক্রেতারা বলছেন, প্রতিটি পণ্যের দাম রমজান আসার আগেই বাড়িয়ে দিয়েছে। দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য বাজার মনিটরিং জোরদার করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান সাধারন ক্রেতারা।

নগরীর নতুন বাজারের এক ক্রেতা জানান, বাজারে বাড়তি দামের কারণে এখন সংসারের অন্য সব খরচের সঙ্গে আপোষ করেই চলতে হচ্ছে। এভাবে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে।

ব্যবসায়ীরা জানান, খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে মোরগের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত থেকে গরু না আসার কারণে গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মনিটরিং জোরদার করা প্রয়োজন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশালের সহকারী পরিচালক সুমী রানী মিত্র  বলেন, ‘আমাদের বাজার তদারকি অভিযান অব্যহত রয়েছে।আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে অযথা কেউ মূল্য বৃদ্ধি করবে তা হবে না।ভোক্তা অধিকার ক্ষুন্ন হয় এমন কোন ঘটনা ঘটলে প্রমানসহ লিখিত অভিযোগে অবগত করুন বা ১৬১২১ নম্বরে যোগাযোগ করুন। অভিযোগ প্রমানিত হলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

এদিকে নিত্যপণ্যের এই মূল্যবৃদ্ধি কমানোর দাবীতে দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তারা বলেন সরকারকে অচিরেই দাম সহনীয় করতে উদ্যোগ নিতে হবে এবং বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক করতে হবে।