rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114মোঃ শাহজাহান ॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ৪নং দাউদখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুল হক খান রাহাতের পুত্র সহ তার পাঁচ সমর্থকের ওপর প্রতিপক্ষ বায়জিদ আহমেদ খান ও তার দল বলের হামলা ভাংচুরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টায় মঠবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন দাউদখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম খান।
লিখিত বক্তব্যে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন ঢাকা মহা-নগর দক্ষিণ ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি বায়জিত আহম্মেদ খান আসন্ন মঠবাড়ীয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে চান। এজন্য গত ২৯ জানুয়ারি রাজারহাটে অবস্থিত দাউদখালী ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে পরিষদের কার্যক্রম চলাকালীন সময় বায়জিদ আহমেদ খান তার দলবল নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান রাহাতের কক্ষে প্রবেশ করেন। সকাল সাড়ে অনুমান ১১ টার সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করেন। ওই সময় বায়জিদ আহমেদ খান ইউপি চেয়ারম্যনের নিকট আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হবেন মর্মে আলোচনা ও পূর্ণ সমর্থন দাবি করেন। কিন্তু চেয়ারম্যান সাহেব তার প্রস্তাবে দ্বিমত পোষন করেন। এতে বায়জিদ আহমেদ খান তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে অফিস থেকে বের হয়ে যান। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বড় হারজী হতে ইউপি চেয়ারম্যান দধিভাংগা তার বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। পথিমধ্যে তেতুঁলতলা বাজারে বায়জিদ আহমেদ খানের দল বল তার গাড়ি গতিরোধ করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যানের ড্রাইভার মনিরুজ্জামান গাড়ি না থামিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করিলে বায়জিদ আহমেদ খানের দলবল পিছনে ধাওয়া করে। গাড়ী চেয়ারম্যানের বাসার সামনে পৌঁছালে চেয়ারম্যান সাহেব দ্রুত গাড়ী থেকে নেমে বাসায় প্রবেশ করেন এবং দরজা বন্ধ করে দেন। ওই সময় গাড়ি গ্যারেজে রাখার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে পথিমধ্যে দধিভাংগা বাজার ব্রিজ সংলগ্ন পৌছামাত্র বায়জিদ আহমেদ খান এর নেতৃত্বে ৫০-৬০জন লোক রামদা লোহার রড, লাঠিসোটা আগ্নেয় অস্ত্র সহ গাড়ির গতিরোধ করে ও ড্রাইভার মনিরুজ্জামানকে এলোপাথারি মারধর করে জখম করে। ড্রাইভারের ডাক চিৎকার শুনে চেয়ারম্যানের ছেলে তৌকির, সমর্থক নাঈম, মাসুদ রানা, আঃ গনি, রাতুল এগিয়ে আসলে তাদেরকে অস্ত্র ঠেকিয়ে মারধর করে। নাঈম রামদার আঘাতে মারাত্মক জখম হয়ে বর্তমানে মঠবাড়ীয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা এলাকায় প্রকাশ্যে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে শান্তি প্রিয় এলাকাকে অশান্ত করার পায়তারা করছে। যে কোনো সময় আমাদের ওপর হামলা, মিথ্যা মামলাসহ খুন জখমের অব্যাহত হুমকি দিচ্ছে। এতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ বিষয়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য গনমাধ্যম কর্মিদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এ ব্যপারে এডভোকেট বায়জিদ আহমেদ খানকে একাধিকবার ফোন দিয়েও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয় নি।