বার্তা ডেস্ক ॥ খেটে খাওয়া থেকে শুরু করে বিত্তশালীরাও ভিড় জমিয়েছেন ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস কিনতে। এখানে বাজারের চেয়ে কম মূল্যে ৫ ধরনের মাছ, রয়েছে শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের ফল ও নিত্যপণ্য। ব্যক্তি উদ্যোগে চালু হওয়া পারিবারিক সাশ্রয় বাজার। এই বাজারেই মিলছে পরিবারের চাহিদার সবটুকু।
পুরো রমজান মাসজুড়ে চলবে বাজারটি। অল্প টাকায় গরুর মাংসসহ নিত্যপণ্য কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। মাসব্যাপী বাজারটি সারা বছর চালু রাখার প্রত্যাশা করছেন উদ্যোক্তা।
বরিশাল নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ব্র্যান্ড কমপাউন্ড এলাকায় এই প্রথম বাজারের থেকে ১১০ টাকা কমে ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে, যা কিনতে ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ খেটে-খাওয়া থেকে শুরু করে সকল শ্রেণির ক্রেতারা। তবে জনপ্রতি দুই কেজির বেশি পাচ্ছেন না কেউ। তা নিয়েই খুশি ক্রেতারা।
পারিবারিক চাহিদার সবপণ্য কম দামে একই স্থান থেকে কিনতে পেরে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ক্রেতারা। এখানে বাজার করতে আসা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ম্যানেজার মো. মহিউদ্দিন বলেন, বর্তমান বাজারে আমিও দ্রব্যমূল্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছি। শুধু রমজান মাস নয়, সারা বছরই এই বাজার চালু রাখার দাবি জানান তিনি।
উদ্যোক্তা ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহিন সিকদার জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে একটি পরিবার যদি মাসিক বাজারে দুই থেকে তিন হাজার টাকা বাঁচাতে পারে, সেই টাকায় পরিবারের অন্য খরচ মেটাতে পারবে। মাসব্যাপী বাজারটি সারা বছর চালু রাখার প্রত্যাশা করছেন এই উদ্যোক্তা।
প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এই বাজার। শুধু ১৬ নম্বর ওয়ার্ডই নয়, সারা বরিশালে এই সুবিধা চালু করার দাবি জানান সাধারণ মানুষ।