rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ ঝালকাঠির রাজাপুরে এক পুত্রবধূর অত্যাচার থেকে বাঁচতে এক বৃদ্ধা শাশুড়ি আকুতি করেছেন। বুধবার সরেজমিন সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন।
বৃদ্ধা শাশুড়ির নাম তহমিনা বেগম। তিনি উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের লেবুবুনিয়া এলাকার মৃত আব্দুল হাই হাওলাদারের স্ত্রী। এছাড়াও দেবর এবং ননদদের জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার সাতুরিতা ইউনিয়নের লেবুবুনিয়া বাজারসংলগ্ন মৃত আব্দুল হাইয়ের বড় ছেলে মৃত মো. জাকির হোসেনের স্ত্রী তাসলিমা বেগমের নামে এ অভিযোগ পাওয়া যায়।
বৃদ্ধা শাশুড়ি তহমিনা বেগম জানান, তার বড় ছেলে মো. জাকির হোসেন ২০১১ সালে মারা যান। স্বামী আব্দুল হাই মারা যায় ২০১৮ সালে। বড় ছেলে মারা যাওয়ার পর থেকেই ছেলের বউ তাসলিমা বেগম ও তার দুই সন্তানদের ওয়ারিশ অনুযায়ী জমি ভাগ করে তাতে ঘর তোলারও ব্যবস্থা করে দেন।
কিন্তু বৃদ্ধার স্বামী মারা যাওয়ার পরে বড় পুত্রবধূর অত্যাচারে ছাড়তে হয়েছে স্বামীর ঘর। বৃদ্ধা বয়সে বড় বউয়ের ঝামেলা এড়াতে ছোট ছেলের ঘরেও না থেকে বাপের বাড়ি এবং মেয়ে জামাইদের ঘরে ঘুরে ঘুরে করছেন জীবন পার। একাধিকবার তার গায়ে হাত তোলার কথাও বলেন তিনি। শুধু তাই নয় বাড়িতে একা পেয়ে বড় বউ মেরে কাপড় খুলে গায়ে কচুও ঘষে দিয়েছেন।
বৃদ্ধার ছোট মেয়ে রাসিদা বেগমও মায়ের ওপরে নির্যাতনের কথা স্বীকার করে বলেন, তাদের এই বড় ভাবির কাছে শুধু তার মা নয় তারা বাকি ৫ ভাইবোনও বিভিন্নভাবে হয়রানির স্বীকার হয়ে থাকেন। হামলা, মিথ্যা মামলা, হুমকির মধ্যেই দিন কাটে তাদের। রাসিদা আরও বলেন, ভাবির দেওয়া মিথ্যা মামলা খেয়ে তাকেও ছাড়তে হয়েছে নিজের শ্বশুরবাড়ি।
বৃদ্ধার ছোট ছেলে মো. শাকিল বলেন, তার ভাবির হয়রানির কারণে এখন সে নিঃস্ব। শাকিলের রোপণ করা গাছ কেটে উল্টো তার বিরুদ্ধেই মামলা দেয় এই বড় ভাবি। এছাড়াও বাড়ির গাছের বিভিন্ন ফল তার প্রাপ্তির চেয়ে বেশি নিয়ে নেন জোর করে। ছোট বড় সব ধরনের গাছের উপরে তার নজর পড়লে আর রক্ষা হয় না সেগুলোর।
তিনি বলেন, লেবুবুনিয়া বাজারে তার বাবার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। আগেও একাধিকবার ঝামেলা হলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি দুই ভাইকে দোকান ভাগ করে দিলেও তার বড় ভাবি কৌশলে একার নামেই লিজ নিয়ে নেন। এছাড়াও তাকে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার পরেও বিভিন্ন সময়ে বাড়তি জমি দখল করে নিয়েছে।
শাকিল ২০১৮ সালে তার বড় ফুফুর থেকে জমি ক্রয় করার পরে তার ভাবি আবার সেজো ফুফুর থেকে ২০২২ সালে জমি ক্রয় করে; কিন্তু মুসলিম আইনে ওয়ারিশের বাইরে জমি বিক্রি করলে আইনের দ্বারস্থ হওয়ার সুযোগ থাকলে শাকিল মুসলিম আইনে হকসভা মামলা করেন; যা এখনো চলমান এবং রয়েছে আদালতের নিষেধাজ্ঞা।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সেখানে লোকজন নিয়ে জোর করে মাটি ভরাট করতে চাইলে শাকিল তার মা এবং বোনদের নিয়ে বাধা দিলে ভাবি তাসলিমা বেগম এবং তার সন্তানেরা বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে পুত্রবধূ তাসলিমা বেগম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একজন স্বামীহারা নারী কারো ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালাতে পারে না। উল্টো তারা সবাই আমাকে এলাকা ছাড়া করতে দিনরাত সমানে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছে। এমনকি এখন পর্যন্ত তারা আমাকে দশবারের অধিক মারধর করেছে।