rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ মোবাইল কোর্টের অভিযানের বিষয়টি টের পেয়েই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দোকানি ও কর্মচারীরা সটকে পড়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।
বাজার মনিটরিং কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (১৬ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বরিশাল নগরের বাজার রোডে অভিযান চালাতে গেলে এই ঘটনা ঘটে।
তবে সটকে পড়ার আগেই বেশ কিছু দোকানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, ভাউচার সংরক্ষণ না করা এবং নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের অপরাধে একটি মামলায় আনন্দ মুদি ঘরের স্বত্বাধিকারীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া মেসার্স প্রগতি ট্রেডার্স নামের একটি চালের আড়তের আমদানিকৃত চালের মূল্য যাচাইয়ের জন্য চালান সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করে দেওয়া পণ্যসামগ্রী, নির্ধারিত মূল্যেই বিক্রয়ের বিষয়ে বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাবেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, বরিশালের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামের নির্দেশনায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যার ধারাবাহিকতায় বরিশাল নগরের বাজার রোড, হাটখোলা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করার পাশাপাশি জরিমানাও করা হয়েছে। আবার এক চাল ব্যবসায়ী যশোর, ফরিদপুর, চাপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে চাল এনে বিক্রি করেন, আমার আমদানিকৃত চালের মূল্য তালিকার তথ্য নিয়েছি, যা যাচাই করে দেখা হবে। যদি বিক্রি মূল্যের সঙ্গে আমদানি মূল্যের বেশি পার্থক্য থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে মোবাইল কোর্টের অভিযান টের পেয়ে ব্যবসায়ীদের দোকানপাট বন্ধ করে সটকে পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়মানুযায়ী ব্যবসা করলে কাউকে তো জরিমানা করা হয় না। তারপরও অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে অনেকেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন। আজও যা লক্ষ্য করা গেছে। এগুলোর তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে এবং ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।
এদিকে অভিযানিক দল চলে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বাজার রোডের বন্ধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে দেখা যায়।
শনিবারের অভিযানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র্যাব-৮-এর সদস্যরা সহায়তা করেন।