আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২১ ১:৪১ অপরাহ্ণ
বার্তা ডেস্ক ॥
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তে ফসল রক্ষায় তিনদিন ধরে মশাল জ্বালিয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে এলাকাবাসীর। উপজেলার ডালুকোনা সীমান্ত পাহাড়ের টিলা থেকে সন্ধ্যা হলেই হাতি নেমে আসে পাকা ধান খেতে। তাই নিজেদের ফসল রক্ষায় এলাকাবাসী হাতি তাড়াতে মশাল জ্বালিয়ে জমিতে অবস্থান করেন। এলাকাবাসী জানায়, বর্তমানে পাহাড়ের সমতলে বোরো ধান পাকা শুরু হয়েছে। প্রতিবছরই ধান ও কাঁঠাল পাকার মৌসুমে ২০-২৫টি বন্য হাতির পাল উপজেলার আন্ধারুপাড়া গ্রামের ডালুকোনা এলাকার ধান ক্ষেতে নেমে আসে। এলাকাবাসী মশাল জ্বালিয়ে পটকা ফুটিয়ে হাতি তাড়িয়ে দেয়। উল্লেখ্য, হাতিগুলো প্রায় ১৫ বছর আগে ভারতের পিক পাহাড় থেকে দলছুট হয়ে গারো পাহাড়ে আসে। ভারত সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বাধার কারণে হাতিগুলো পুনরায় তাদের আবাসস্থলে ফিরে যেতে পারেনি। প্রথম দিকে গারো পাহাড়ে অবস্থান নেওয়া ওই হাতির সংখ্যা ছিল ২০-২৫টি। বর্তমানে এ সংখ্যা ৫০-৬০টির বেশি। পোড়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বন্ধনা চাম্বু গং বলেন, ‘সন্ধ্যা হলে ফসল রক্ষার জন্য লোকজন নিয়ে মশাল জ্বালিয়ে ক্ষেতেই রাত কাটাই। ধান পাকলেই প্রতিবছর এই ভাবেই ক্ষেত রক্ষা করি।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হেলেনা পারভীন বলেন, ‘মশাল জ্বালাতে ৫১ জনকে কেরোসিন তেল দিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকাও করা হচ্ছে।’