rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে চালু হয়েছে স্পেশাল সার্ভিস। বৃহস্পতিবার থেকে প্রতিদিন এ রুটে ছয়টি করে বিশেষ লঞ্চ চলার কথা রয়েছে। তবে মালিকেরা বলছেন, যাত্রীর ওপর নির্ভর করে লঞ্চ কম বেশি হতে পারে।এদিকে আজ থেকে বরিশাল থেকে ফিরতি লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-বরিশাল বিশেষ সার্ভিস চালু হতো মহা সমারোহে। নিয়মিত লঞ্চের পাশাপাশি অন্তত ১৪টি ঈদ সার্ভিস চলত যাত্রী চাপ সামাল দিতে। তবে এখন আর সেই দিন নেই।
যাত্রী সংকটে এ রুটে সপ্তাহে একদিন দুটো করে লঞ্চ চলে। ঈদ স্পেশাল সার্ভিস হিসেবে এ বছর ছয়টি করে লঞ্চ চলবে। ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে যাত্রী ৬৫ ভাগ কমেছে দাবি করে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যাত্রীর ওপর নির্ভর করে চলবে লঞ্চ।
ঈদযাত্রা প্রসঙ্গে সুন্দরবন নেভিগেশনের ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাদের লঞ্চের টিকিট ৯ তারিখ পর্যন্ত বিক্রি হয়ে গেছে। তবে ৬ এবং ৭ তারিখের কিছু টিকিট আছে যার সংখ্যা খুবই কম। আমরা চেষ্টা করছি আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে কেবিনের টিকিট সরবরাহ করতে।’
ঈদ স্পেশাল সার্ভিস নিয়ে সুরভী শিপিংয়ের পরিচালক রিয়াজুল কবির বলেন, ‘এবারে কেবল ২৯ রোজার দিন দিনের বেলায় আমাদের গ্রুপের একটি লঞ্চ ঈদ স্পেশাল সার্ভিস হিসেবে চলবে। বাকি সব নিয়মিত সার্ভিস। লঞ্চের যাত্রী শুন্যের কোঠায় নেমেছে। যাত্রী আর ফিরবে বলে মনে হয় না। কারণ কম পয়সায় কম সময়ে তারা সড়কপথে যাতায়াতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।’
এদিকে টিকিট কাটা হলেও শেষ পর্যন্ত যাত্রী সংকটে লঞ্চ বাতিলের শঙ্কায় আছেন অনেক যাত্রী। অনেকের দাবি, টিকিট আটকে রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
টিকিট কাটতে আসা এক যাত্রী বলেন, ‘আমি দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও কাঙ্ক্ষিত তারিখের টিকিট পাচ্ছি না। লঞ্চ মালিকেরা মনে হয় সিন্ডিকেট করে টিকিট ছাড়ছে। আমরা লঞ্চের টিকিট হাতে পেয়েও নিশ্চিত হতে পারছি না। কেননা এবারের ঈদ অ্যারেঞ্জমেন্ট সম্পূর্ণভাবেই যাত্রীঢলের ওপর নির্ভর করছে।’
ঈদযাত্রার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নৌ কর্তৃপক্ষ। বরিশাল নৌবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াদ হোসেন বলেন, অন্যবারের মতো এবারেও ঈদে নৌ যাত্রার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে লঞ্চ কত সংখ্যক চলবে তা আগাম বলা যাচ্ছে না। যাত্রীর চাপ অনুযায়ী লঞ্চ ছাড়া হবে। এ ছাড়া আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ হলে লঞ্চ চলাচলে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হবে।
ঈদ স্পেশাল সার্ভিস চালু থাকবে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত।