Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rocket domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
মাতৃভাষা দিবসে কুয়াকাটায় ৮০ শতাংশ হোটেল অগ্রিম বুকড - আজকের বার্তা
আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

মাতৃভাষা দিবসে কুয়াকাটায় ৮০ শতাংশ হোটেল অগ্রিম বুকড


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪ ৭:৩০ অপরাহ্ণ মাতৃভাষা দিবসে কুয়াকাটায় ৮০ শতাংশ হোটেল অগ্রিম বুকড
Spread the love

বার্তা ডেস্ক ॥  ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ছুটির সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটিসহ টানা চার দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে অগ্রিম বুকিং শুরু হয়েছে সাগরকন্যা কুয়াকাটায়। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত কুয়াকাটার আবাসিক হোটেলগুলোর প্রায় ৮০ শতাংশ রুম অগ্রিম বুকিং হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ।

তিনি বলেন, আগামী ২১-২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুয়াকাটায় থাকা প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলো এরইমধ্যে ৮০-৯০ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোর ৭০ শতাংশ রুম এরইমধ্যে অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। ২১শে ফেব্রুয়ারি বুধবার, এরপর শুক্র-শনিবার পর্যন্ত অনেকেই চারদিনের ছুটি তৈরি করেছেন। যে কারণে আমরা প্রত্যকটা হোটেল ২২ ও ২৩ তারিখের সবচেয়ে বেশি বুকিং পেয়েছি। তার সঙ্গে বাকি দিনগুলোতে একটু কম বুকিং হলেও ওই চারদিনকে ঘিরে আমরা বাড়তি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।

হোটেল রেইন ড্রপসের পরিচালক দীপঙ্কর রায় দীপু জানান, মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আমার হোটেলের মোট ২৪টি রুমের এখন পর্যন্ত ২১ ও ২৩ তারিখে শতভাগ বুকড, ২২ ও ২৪ তারিখে ৭০ শতাংশ বুকিং। হাতে যে কয়দিন আছি এর মধ্যেও বাকিগুলো সব বুকিং হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এখনো অনেক ফোন পাচ্ছি, চাহিদা মতো পর্যটকদের রুম বুকিং দিতে পারছি না।

কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেএম বাচ্চু জাগো নিউজকে বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে আমরা পর্যটক পাচ্ছি। বেশিরভাগ পর্যটক ডে-ট্যুরে এসে থাকেন। তবে মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আমরা দুই-তিন দিন থাকার মতো পর্যটক পেয়েছি। লম্বা এই বন্ধকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটায় অগ্রিম বুকিং এর হিড়িক পড়েছে। তাই এখন থেকে কুয়াকাটায় যারা আসবেন তাদের জন্য পরামর্শ, অবশ্যই রুম আগেভাগে বুকিং দিয়ে আসবেন। না হয় এখানে এসে ভোগান্তিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, কুয়াকাটায় ছোট-বড় ২০০টির বেশি হোটেল রয়েছে, যার ধারণক্ষমতা ২০-২৫ হাজার। কিন্তু ছুটির দিনগুলোতে অসংখ্য পর্যটকের আগমনের কারণে অনেক পর্যটক পার্শ্ববর্তী বাসাবাড়ি, গাড়ির ভেতরে রাত্রী যাপন করেন, আবার অনেকে সারাদিন ভ্রমণ শেষে রাতে নিজ গন্তব্যেও ফিরে যান।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, বছরে যে দিনগুলোতে সবচেয়ে বেশি চাপ থাকে তার মধ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একটি। তারসঙ্গে আবার যোগ হয়েছে সাপ্তাহিক ছুটি। যে কারণে কয়েক লাখ লোকের আগমন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই হোটেল-মোটেলের পাশাপাশি আশেপাশের বেশ কয়েক এলাকার বাসা বাড়ি, এছাড়াও কুয়াকাটাতেও পর্যটকদের সেবা দেওয়া প্রায় ১৬টি পেশার সকল ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাহাত গাওহারী জাগো নিউজকে জানান, আগামী চারদিনের ছুটিতে অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটবে কুয়াকাটায়। যে কারণে আগে থেকেই ট্যুরিস্ট পুলিশের কয়েকটি টিম মোতায়েন রয়েছে। সার্বক্ষণিক নজরদারি ও গোয়েন্দা টিম মনিটরিং করছে।