আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

ফোর্বসের উদ্যোক্তা তালিকায় ৯ বাংলাদেশি তরুণ


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২১ ২:০৬ অপরাহ্ণ ফোর্বসের উদ্যোক্তা তালিকায় ৯ বাংলাদেশি তরুণ
Spread the love

বার্তা ডেস্ক ॥
সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বয়সী এশীয় অঞ্চলের ৩০০ তরুণের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্বখ্যাত মার্কিন ম্যাগাজিন ‘ফোর্বস’। মঙ্গলবার প্রকাশিত উদ্যোক্তাদের এ তালিকায় চলতি বছর প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের ৯ তরুণ। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত অসামান্য কাজের জন্য এই বাংলাদেশিরা এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন। এবারের তালিকায় থাকা বাংলাদেশিরা প্রযুক্তি উদ্যোক্তা, সামাজিক প্রভাব, খুচরা ও ই-বাণিজ্যে অবদান রাখায় তালিকাভুক্ত হয়েছেন। ৯ বাংলাদেশি হলেন আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই-ভিত্তিক উদ্যোগ ‘গেজ টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা শেহজাদ নূর তাওস (২৪) ও মোতাসিম বীর রহমান (২৬), স্টার্টআপ ক্র্যামস্ট্যাকের প্রতিষ্ঠাতা মীর সাকিব (২৮)। কুয়ালালামপুরভিত্তিক এনজিও অ্যাওয়ারনেস ৩৬০-এর প্রতিষ্ঠাতা শোমী হাসান চৌধুরী (২৬) এবং রিজভি আরেফিন (২৬)। বর্তমানে ২৩টি দেশে এই এনজিওর দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবক আছেন। হাত ধোয়া, জল-পরিস্রাবণ, স্যানিটেশনসহ ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রচার চালাচ্ছেন তারা। তালিকায় আছেন অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ ইমতিয়াজ জামি (২৭), হাইড্রোকো প্লাসের প্রতিষ্ঠাতা রিজভানা হৃদিতা (২৮) ও মো. জাহিন রোহান রাজীন (২২) ও পিকাবোর সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোরিন তালুকদার (২৭)।
————–
পৌরসভায় আউটসোর্সিংয়ে অপ্রয়োজনীয় লোক নয়: এলজিইডি মন্ত্রী
বার্তা ডেস্ক ॥
নিয়মিত কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অতিরিক্ত লোকবল নিয়োগ না দিতে দেশের সকল পৌরসভার মেয়রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম । তিনি রাজধানীর সরকারি বাসভবন মিন্টু রোড থেকে চলমান কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে দেশেল সকল পৌরসভার মেয়রদের সাথে দুই দফায় ভার্চুয়ালি মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান। মন্ত্রী বলেন, পৌরসভাগুলোতে নিয়মিত কর্মচারীর বেতন-ভাতা সময়মত পরিশোধ না করে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিয়ে তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে বলে অনেক অভিযোগ আসে। অতিরিক্ত কর্মচারী নিয়োগের ফলেই পৌরসভার কর্মচারীদের মাসের পর মাস বেতন-ভাতা বকেয়া থাকছে উল্লেখ করে মন্ত্রী এ বিষয়ে সকল মেয়রকে আরো বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান । পৌর মেয়রদের আয় ও উৎপাদনমুখী এবং সেবামূলক প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী করোনা মহামারিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে গৃহীত চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নিতে বলেন। তিনি বলেন, লকডাউন যত বৃদ্ধি হবে দেশের অর্থনীতির উপর ততো চাপ বাড়বে। তাই অর্থনৈতিক কর্মকান্ড অব্যাহত রাখার বিকল্প নেই। হাট-বাজারগুলোতে জনসমাগম কমানোর তাগিদ দিয়ে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা জায়গায় কাঁচাবাজার বসানোর পরামর্শ দিয়ে মো. তাজুল ইসলাম করোনা সংক্রম প্রতিরোধে জনগণকে সম্পৃক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন। এছাড়া, করোনা প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য বিভাগ ও দপ্তর থেকে যেসব পরিপত্র জারি হয়েছে সেগুলো পরিপালনের নির্দেশও দেন মন্ত্রী। সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সকল পৌরসভার মেয়ররা অংশ নেন ।
————
দুই ডোজ টিকা নিয়েও করোনায় আক্রান্ত আলমগীর, হাসপাতালে ভর্তি
বার্তা ডেস্ক ॥
দুই ডোজ টিকা নিয়েও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা আলমগীর। বর্তমানে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার সহধর্মিণী কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘আলমগীর সাহেবের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। স্থানীয় একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দল খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে তার চিকিৎসা দিচ্ছেন। ওনার মধ্যে দারুণ স্পিরিট রয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ্, তিনি এখন ভালো আছেন। তার পুরোপুরি সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া চাইছি।’ উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি করোনার টিকার প্রথম ডোজ নেন তারকা দম্পতি চিত্রনায়ক আলমগীর ও গায়িকা রুনা লায়লা। এরপর চলতি মাসের ১৭ তারিখ দ্বিতীয় ডোজটি নেন তারা। এর তিনদিনের মাথায় খবর এলো আলমগীর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
————
প্রতারণার মামলায় মডেল রোমানা স্বর্ণা রিমান্ডে
বার্তা ডেস্ক ॥
প্রতারণার মাধ্যমে এক সৌদি প্রবাসীর কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের মামলায় গ্রেফতার মডেল ও অভিনেত্রী রোমানা ইসলাম স্বর্ণার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালতে তার সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গত ১১ মার্চ অভিনেত্রী স্বর্ণাসহ আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সৌদি প্রবাসী কামরুল ইসলাম। মামলার পরদিন স্বর্ণা, তার মা শেইলী, ছেলে আন্নাফিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন। মামলার অভিযোগে বাদী কামরুল উল্লেখ করেন, তিনি রোমানার বাসায় কয়েকদিন অবস্থান করতে বাধ্য হয়েছিলেন এবং ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল সৌদি আরবে চলে যান। সৌদি আরবে যাওয়ার পর প্রথম দিকে রোমানা বাদীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন এবং তিনি রোমানাকে নিয়মিত সাংসারিক খরচ দিতেন। চার-পাঁচ মাস পর বাদী কামরুল সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে এসে তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে, রোমানা তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে থাকে এবং দেখা করতে অস্বীকৃতি জানান। এ বিষয়ে বাদী রোমানার পরিবারের সঙ্গে কথা বললে তারাও তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেন। স্বর্ণার আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাকে ফ্ল্যাট ও গাড়ি বুঝিয়ে দিতে বললে সেসব নেই বলে বাদীকে জানান।
————-
ফরিদপুরে প্রতারক চক্রের ৫ জন আটক; ২৭৩টি সিমকার্ড উদ্ধার
বার্তা ডেস্ক ॥
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার রায়নগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিকাশ প্রতারক চক্রের সক্রিয় ৫ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ইয়াবা, ফেনসিডিল, ল্যাপটপ, ২৭৩টি সিমকার্ড ও ২৯ হাজার ৫শ টাকা জব্দ করেছে। র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রতারক চক্র বিকাশের নাম ব্যবহার করে প্রতারনার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। এমন অভিযোগের ভিক্তিতে র‌্যাবের অনুসন্ধানী টিম সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারে রায়নগর গ্রামে একটি প্রতারক চক্র মানুষকে ঠকিয়ে লাখ লাখ টাকা আদায় করছে। র‌্যাব ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মো. খোরশেদ আলম ও স্কোয়াড কমান্ডার মাহিদুল হাসানের নেতৃত্বে মঙ্গলবার ভোরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ফারুক মাতুব্বর (৩৫), সুমন হোসেন (২৮), আনোয়ার হোসেন (২১), শফিকুল ইসলাম (২৩) ও সজিব মাতুব্বরকে (১৯) আটক করে। এ সময় আটককৃত প্রতারক চক্রের সদস্যেদের হেফাজতে থাকা ২২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১২ বোতল ফেনসিডিল এবং বিকাশ প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত ১৫টি মোবাইল ফোনসহ ২৭৩ টি সীমকার্ড, ১ টি ল্যাপটপ এবং বিকাশ প্রতারনার ২৯ হাজার ৫০০ টাকা জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা বিকাশ প্রতারনার মাধ্যমে জনসাধারনের নিকট থেকে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে স্বীকার করে। র‌্যাব সূত্র জানায়, বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন দুর্নীতি পরায়ণ মোবাইল সিম বিক্রেতার সাথে পরস্পর যোগসাজস করে ভুয়া নামে সিম কার্ড রেজিস্ট্রেশন ও উক্ত সিমকার্ড ব্যবহার করে অসাধু ডিএসআর (বিকাশ এ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বিকাশ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগকৃত এজেন্ট) গণের মাধ্যমে ভুয়া বিকাশ এ্যাকাউন্ট খোলে। প্রতারক চক্রের সদস্যরা দুর্নীতিপরায়ণ ডিএসআর গণের নিকট থেকে অর্থের বিনিময়ে বিকাশ এজেন্টদের লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে ভুয়া রেজিস্ট্রেশনকৃত মোবাইল সিমকার্ড ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহজ সরল সাধারণ জনগনের নিকট নিজেকে বিকাশ হেড অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফোন করে কৌশলে তাদের বিকাশ পিন কোড জেনে নেয় এবং স্মার্ট ফোনে বিকাশ এ্যাপস্ ব্যবহার করে সাধারণ লোকজনের বিকাশ এ্যাকাউন্ট হতে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়। এভাবে তারা প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো। আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
————–
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দেশ সেরা
বার্তা ডেস্ক ॥
আন্তর্জাতিক মানদ-ে বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে গবেষণা, উদ্ভাবন ও সামাজিক অবস্থান- এই তিন সূচকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি) দেশ সেরা (প্রথম স্থান)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪১২৬টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে স্পেনের সিমাগো-স্কোপাস জরীপে এ তথ্য উঠে এসেছে। সোমবার বিশ্বখ্যাত সিমাগো ইন্সটিটিউট র‌্যাংকিং ২০২১ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, ওই জরীপে কৃষি ও জীববিজ্ঞান শাখায় বশেমুরকৃবি বিশ্বের ৪৭২তম, এশিয়া অঞ্চলে ২০৬তম এবং বাংলাদেশে প্রথম স্থান লাভ করেছে। অন্যদিকে জীব রসায়ন, জেনেটিক্স ও মলিকুলার বায়োলজি শাখায় বশেমুরকৃবি বিশ্বে ৫৪১তম, এশিয়া অঞ্চলে ২৪৭তম এবং বাংলাদেশে প্রথম স্থানে রয়েছে। উল্লেখ্য যে, একই ইনডেক্স জরীপে বশেমুরকৃবি গত ২০১৯ এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের মধ্যে যথাক্রমে চতুর্থ ও দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা এবং এ স্বীকৃতি অর্জনের সাথে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে নিরলস প্রচেষ্টার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া সকল শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অভিনন্দন জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সাফল্য উত্তরোত্তর আরও বৃদ্ধি পাবে।
————-
এই আওয়ামী লীগ এখন অস্ত্র ও টেন্ডারবাজ আওয়ামী লীগ: কাদের মির্জা
বার্তা ডেস্ক ॥
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, এই আওয়ামী লীগ এখন পথ হারা আওয়ামী লীগ, এই আওয়ামী লীগ অপশক্তির আওয়ামী লীগ, এই আওয়ামী লীগ এখন অস্ত্রবাজদের আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগ টেন্ডারবাজ চাকরি বাণিজ্য করে তাদের আওয়ামী লীগ। এসময় পুলিশ গায়ে হাত দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তার অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ড থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে গায়ে হাত তোলার অভিযোগ করেন। কাদের মির্জা অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ আজকে অপরাজনীতির হোতারা আওয়ামী লীগ নিয়ন্ত্রণ করছে। সর্বক্ষেত্রে তাদের ক্ষমতায় থাকার জন্য আজকে হেফাজতের মতো সন্ত্রাসীরা যারা ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ৭১ সালকে হার মানিয়েছে, তাদের সাথে নিয়ে আজকে আওয়ামী লীগ সংসার করছে। তাদের নিয়ে আজ রাজনীতি পরিচালনা করছে। ক্ষমতা এতো বড় আজকে আমরা আদর্শ বিসর্জন দিয়েছি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে আমাদের বিচ্যুত করেছে এটা নির্দ্বিধায় সবাই স্বীকার করবে। ‘সন্ত্রাসী পুলিশেরা আমার সাতজন কর্মী বিশেষ করে মিকন ও আরও একজন ছেলেকে গ্রেফতার করে নির্যাতন করেছে। সকালের দিকে খবর পেয়ে আমি তাদের দেখতে গেছি। তারা শোয়া থেকে উঠতে পারছে না। দেখে ফেরার পথে আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে এডিশনাল এসপি। আমার গায়ের ওপর হাত দিয়েছে। আমি ১০ বার বলেছি আমি ডিএস মর্যাদার। তুমি আমার গায়ের ওপর হাত দাও কেন? সে তারপরেও আমার গায়ের ওপর হাত দিয়েছে। ওসি আমার সহকারী সাজুর গায়ের ওপর হাত দিয়েছে। পুলিশেরা গায়ের ওপর হাত দিয়েছে। তাকে মারধর করেছে তার মোবাইল কেড়ে নিয়েছে।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘তারপরে আমি আসার পথে এ এডিশনাল এসপি ওসিসহ পুলিশ আমাকে অকথ্য ভাষায় মা ধরে গালি-গালাজ করেছে। আমি কোন দিন থানায় যাইনি। আজকে একদিন গেছি এদের অত্যাচারের কথাটা দেখে আসার জন্য এবং শোনার জন্য। আজকে আমাদের ওপর এ তা-ব চালিয়েছে। গত তিনটা মাস আমার ওপর তা-ব চলছে।’ ‘আমার সাতজন নেতাকর্মীকে গতরাতে গ্রেফতার করেছে। আমি যখন শুনলাম থানাতে তাদের নির্যাতন করছে, আমার জীবনে আমি বিরোধী দল করেছি তখন আমার কর্মীদের উপর এতো নির্যাতন হয়নি। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম আমাদের পুলিশ প্রশাসনসহ সবাই সম্মান করতো, শ্রদ্ধা করতো। আজকে আমি সরকারি দলের মূল সংগঠনে না থাকলেও বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ নামে একটা প্রতিষ্ঠানে আছি। আজকে আমার অনুসারীদের যেভাবে অত্যাচার করছে, থানায় এটা একাত্তরকে হার মানিয়েছে। আমার যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নাজিম উদ্দিন মিকনকে কালকে রাতে ধরে নিয়ে তাকে এমনভাবে নির্যাতন করেছে। সে শোয়া থেকে উঠে আমার সাথে কথা বলতে পারছে না। এখানে একজন এডিশনাল এসপি অর্থ নিয়ে থাকে। এখানে বসানো হয়েছে আরেকজন জামায়াতের পিটুনী খেয়েছে মাইজদীতে, যাকে একটা হেলিকপ্টারে করে চিকিৎসা করিয়েছে, সেই ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ ওসির নেতৃত্বে সন্ত্রাসী পুলিশ আমার সাতজন কর্মী বিশেষ করে আরেকজন ছেলে এরা দুজন শোয়া থেকে উঠতে পারছে না।’ নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে গায়ে হাত তোলার অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনি (আবদুল কাদের মির্জা) যে অভিযোগ করেছেন তা ভিত্তিহীন। গতকালের (সোমবার) ঘটনাকে রাজনৈতিক চরিত্র দেয়ার জন্য ভিন্ন ভিন্ন কথা বলছেন। গায়ে হাত দেয়ার মত কোনো ঘটনা ঘটেনি।
————-
বিএনপির গণতন্ত্র ওরস্যালাইনের মতো : ওবায়দুল কাদের
বার্তা ডেস্ক ॥
বিএনপির গণতন্ত্র ‘ওরস্যালাইনের’ মতো বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতরের রাজশাহী জোনের কার্যক্রমের পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বিএনপির গণতন্ত্র মানে ‘হ্যাঁ’, ‘না’ ভোট। বিএনপির গণতন্ত্র মানে ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন। তাদের গণতন্ত্র মানে মাগুরা, ঢাকা-১০ এর উপ-নির্বাচন। তাদের গণতন্ত্র মানে এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারের প্রস্তুতি। বিএনপির গণতন্ত্র ছিল আধাসের পানি, এক মুষ্টি গুড় আর এক চিমটি লবণের ওরস্যালাইনের মতো। নিজ দলে নেই গণতন্ত্রের চর্চা, নেই কাউন্সিল, নেই গঠনতন্ত্রের অনুসরণ। আজ তারা গণতন্ত্রের বুলি ফোটাচ্ছেন। শুধু বিএনপির অসহযোগিতার কারণে গণতন্ত্রের মসৃণ যাত্রা বারবার হোঁচট খাচ্ছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বলে সরকার নাকি জনবিচ্ছিন্ন। একথা তারা প্রায়শই বলে। গত ১৩ বছর ধরে ধারাবাহিক ব্যর্থতার গ্লানি বইতে গিয়ে বিএনপি এসব কথা বলে। জনগণ দ্বারা তারা প্রত্যাখাত। ব্যর্থ হয়ে এখন তারা আন্দোলনের হাঁকডাক দিচ্ছে। বিএনপি বলছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে গণতন্ত্রের সম্পর্ক নাই। করোনার এই সময়ে আমরা রাজনৈতিক বিরূপ মন্তব্য করতে চাই না। পারস্পরিক দোষারোপও করা কারোরই করা উচিত নয়। কিন্তু নিত্যদিন তাদের এই কথার জবাব সরকার পক্ষকেও দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি মহাসচিবের গত কয়েকদিনের কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে হেফাজতে ইসলামের সাম্প্রতিক যে তা-বলীলা তা শুধু তারা পৃষ্ঠপোষকতাই নয়, বরং সহিংস ঘটনায় বিএনপি জড়িত ছিল। যারা সরাসরি জড়িত ছিল ভিডিও ফুটেজ দেখে শুধু তাদেরকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এখানে কোনো আলেম-ওলামার বিষয় না। বিএনপি বা কোনো দল দেখে কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি। যারা এই তা-বলীলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত, বাড়িঘর জ্বালিয়েছে, সন্ত্রাস করেছে, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেদের আড়াল করার জন্য শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কথাবার্তা শুনলে মনে হয়, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না। হেফাজতের এই তা-বে আপনারা যে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত এটা সবাই জানে। মন্ত্রী ভার্চুয়ালি ঢাকা থেকে এ সভায় অংশগ্রহণ করেন। সওজের রাজশাহী কার্যালয় থেকে এই জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাসুম সারওয়ারসহ অন্যান্য নির্বাহী প্রকৌশলীরা যোগ দেন। সভা থেকে তাদের নানা দিকনির্দেশনাও দেন মন্ত্রী।
—————-
সীমিত ব্যাংকিং ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত
বার্তা ডেস্ক ॥
চলমান লকডাউনের মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগামী ২৮ এপ্রিল (বুধবার) মধ্যরাত পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ বা লকডাউন বহাল থাকবে। এই সময়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে সরকার কর্তৃক আরোপিত বিধি-নিষেধের মধ্যে ব্যাংকিং কার্যক্রম প্রসঙ্গে’ নতুন এ নির্দেশনা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, ব্যাংক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার বিষয়ে ২০২১ সালের ১৩ এপ্রিল জারি করা নির্দেশনা ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। অর্থাৎ আগের সাত দিনের লকডাউনের মতোই এবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ব্যাংকের লেনদেন হবে। লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বিকাল আড়াইটা পর্যন্ত। প্রতিটি ব্যাংকের উপজেলা শহরের একটি শাখা খোলা থাকবে বৃহস্পতিবার, রোববার ও মঙ্গলবার। সিটি করপোরেশনের এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে একটি শাখা প্রতি কর্মদিবস খোলা রাখতে হবে। আগের লকডাউনের মতোই সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে এটিএম বুথ। একইসঙ্গে চালু থাকবে ইন্টারনেট ব্যাংকিংসহ অনলাইন সেবা। সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর এলাকার ব্যাংক শাখা আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের জন্য খোলা রাখা যাবে। পাশাপাশি স্ব স্ব ব্যাংকের প্রয়োজনে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন করা শাখা (এডি) সীমিতসংখ্যক জনবল দিয়ে খোলা রাখতে পারবে।
—————
কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদে অষ্টমীর স্নানে পুণ্যার্থীদের ঢল
বার্তা ডেস্ক ॥
লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদে মঙ্গলবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমীর স্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে স্নান উপলক্ষে গণজমায়েত এড়াতে নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রতিবছরের ন্যায় এবার কোনো মেলা বসেনি। প্রতি বছর এই সময়ে অষ্টমী তিথিতে ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারীতে অষ্টমীর স্নানে দেশ-বিদেশের লক্ষাধিক পুণ্যার্থী অংশ নেন। ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার ব্যাপী ব্রহ্মপুত্র চরে বসে অষ্টমীর মেলা। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে লকডাউনে উপজেলা প্রশাসন থেকে অষ্টমীর স্নান ও মেলার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অনুসারীরা রাত থেকে চিলমারী উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিতে থাকেন। এবারে স্নানের জন্য ব্রহ্মপুত্র নদের পুটিমারী এলাকা নির্ধারিত স্থান থাকলেও নদের বিভিন্ন পয়েন্টে স্নান করে পুণ্যার্থীরা। শতশত বছর ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই দিনে ব্রহ্মপুত্র নদের ত্রিধারায় স্নান করে আসছে। স্নান উৎসবে যোগ দেওয়া পুণ্যার্থীরা জানান, ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী আজকের এই দিনে পুন্যস্নান করলে পূর্ণতা লাভ করা যায়। তাই আমরা সামাজিক দূরত্ব মেনে স্নান করতে এসেছি। প্রতি বছরের মেলা আয়োজনকারীরা জানান, করোনা আতঙ্ক আর প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা না থাকলে এবারে প্রায় ৫ লক্ষাধিক হিন্দু ধর্মাবলম্বীর পুণ্যার্থীরা যোগ দিত স্নান উৎসবে। চিলমারী থানার ওসি মো. অনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমাদের টহল দল সকাল থেকে নিষেধাজ্ঞা যাতে অমান্য না করে সে লক্ষ্যে কাজ করছে। যারা সামনে পড়ছে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ বলেন, করোনা মহামারির কারণে এ বছর চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমীর স্নানের উপর নিষেজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও অনেকেই ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন পয়েন্টে স্নান উৎসবে অংশ নিয়েছে বলে শুনেছি। পুলিশকে কঠোর অবস্থানে থাকার নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।
—————
হেফাজত নেতা কোরবান আলী গ্রেফতার
বার্তা ডেস্ক ॥
হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর কমিটির সহসভাপতি ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা কোরবান আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে বাসাবোর বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে তার ছেলে ওবায়দুল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ডিবি পুলিশের পরিচয়ে আমার বাবা মাওলানা কোরবান আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার সাংবাদিকদের জানান, বাসাবো থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
—————-
ভুল তথ্যে করোনায় মারা যাওয়া হিন্দু ব্যক্তির জানাজা-দাফন!
বার্তা ডেস্ক ॥
নারায়ণগঞ্জ তিনশ শয্যা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভুল তথ্যের কারণে করোনায় মারা যাওয়া বাবুল চন্দ্র দাস নামে এক হিন্দু ব্যক্তিকে মুসলমান হিসেবে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মারা যাওয়া রোগীর স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের এক কাউন্সিলরকে জানায়- করোনা ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে রোগীর স্বজনরা লাশ নিতে চাচ্ছেন না। পরে তার লাশ জানাজা শেষে দাফন করা হয়। এদিকে হাসপাতালের দায়িত্বশীলদের এমন কর্মকা-ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা নারায়ণগঞ্জের গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সৈকত হোসেন। তিনি বলেন, রোগী মারা যাওয়ার পর হাসপাতাল থেকে আমাদের জানালে আমরাই তার সৎকারের ব্যবস্থা করতাম। নারায়ণগঞ্জ তিনশ শয্যা হাসপাতালকে বর্তমানে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে। গত শনিবার সকালে এ হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকা করোনা রোগী বাবুল চন্দ্র দাস মারা যান। সেদিন দুপুরে হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. এম এ বাশার জানান, হাসপাতালের এন্ট্রি খাতার তথ্যানুযায়ী মৃত রোগীর নাম বাবুল। বয়স পঞ্চাশ। সৈকত নামের একজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। ফতুল্লার সৈয়দপুর এলাকায় তার বাড়ি। হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে তার আত্মীয়রা কেউ খোঁজ নেননি। মৃত্যুর পর তার পরিবারকে জানানো হলেও করোনা রোগী হওয়ায় তারা লাশ নিতে চাচ্ছিলেন না। তাই লাশ দাফনের জন্য কাউন্সিলর শওকত হাশেমকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম বলেন, যেহেতু হাসপাতালের রেকর্ডে মৃত ব্যক্তিকে মুসলমান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তাই আমরা লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি। এছাড়া গোসলের সময় ওই ব্যক্তির খৎনা করা দেখতে পাই। বাবুল দাসকে হাসপাতালে নিয়ে আসা গোগনগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য সৈকত হোসেন বলেন, বাবুল চন্দ্র দাস ছয় বছর ধরে আমাদের এলাকার খোকন ম-লের দর্জি দোকানে কাজ করত। পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই বললেই চলে। সে দোকানে ঘুমাত, হোটেলে খেত। গত ১৪ এপ্রিল বাবুল অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা তাকে মহাখালী নিয়ে যাই চিকিৎসা করাতে। সেখানে পরীক্ষা করে জানা যায়, তার করোনা পজিটিভ। এরপর তাকে ১৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ তিনশ শয্যা হাসপাতালে এনে ভর্তি করি। ভর্তির সময় আমরা তার নাম বাবুল চন্দ্র দাস বললেও এন্ট্রি খাতায় লেখা হয় শুধু বাবুল। গত রোববার প্রথম আমরা তার মৃত্যুর খবর পাই। পরে যখন হাসপাতাল থেকে আমাকে ফোন করা হয়, তখন লাশ দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার মৃত্যুর সাথে সাথেই যদি আমাদের ফোন দিতো তাহলে এই সমস্যা হতো না। তার লাশ সৎকারের ব্যবস্থাও আমরা করতাম। বাবুলের খৎনা করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রাকৃতিকভাবেই তার খৎনা করা ছিল। বাবুল দাসের সঙ্গে তার স্ত্রীর ১০-১৫ বছর ধরে সম্পর্ক নেই বলে জানা গেছে। হাসপাতাল সুপার ডা. বাশারের বলেন, বাবুল করোনা পজিটিভ- এটি জানার পর থেকেই তার পরিবার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। যেদিন বাবুল মারা যান, সেদিন বারবার তার পরিবারকে ফোন দেওয়া হয়। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় পরে সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলেই এ কনফিউশন তৈরি হয়েছে।
————–
রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেন মামুনুল: পুলিশ
বার্তা ডেস্ক ॥
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরবিরোধী আন্দোলনের নামে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক সরকার উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। রিমান্ডে থাকা মামুনুল হক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছেন বলে আজ মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. হারুন-অর-রশিদ। তিনি জানান, এ ছাড়া তাবলীগের সাদপন্থীদের মারধরের কথা স্বীকার করেছেন মামুনুল হক। জোশের কারণে ওয়াজ মাহফিলের বক্তৃতায় বিশিষ্ট নাগরিকদের মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন বলেও স্বীকার করেছেন তিনি। হারুন-অর-রশিদ বলেন, রিমান্ডে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক। তিনি জানিয়েছেন, তিনি কওমি মাদরাসার কোমলমতি ছাত্রদের উসকানি দিয়ে মাঠে নামিয়েছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতার আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে সরকারকে উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা। হেফাজতের নেতাকর্মীদের উসকানি দিতেন মামুনুল। তিনি বলতেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে হেফাজতের সমর্থন ছাড়া কেউ ক্ষমতা দখল করতে পারবে না। এর আগে আজ দুপুর পৌনে ১২টায় সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে নাশকতার ঘটনায় হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ড চাইবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২৩ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে সিআইডি। এই ২৩টি মামলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১৫, কিশোরগঞ্জে দুই, চট্টগ্রামে দুই ও মুন্সিগঞ্জে দুটি। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় পাঁচটি মামলা এবং চলতি বছরে মামলা হয়েছে ১০টি। এর মধ্যে একটি হত্যা মামলাও আছে।’ সোমবার (১৯ এপ্রিল) মামুনুলকে আদালতে তোলা হয়। আগেই তার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ১৮ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
—————–
ঋণ শোধে আবারও ছাড় পেলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকেরা
বার্তা ডেস্ক ॥
করোনাভাইরাসের প্রকোপ আবার বেড়েছে। দৈনিক মৃত্যু শতাধিক ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ দেওয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংক–বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধে আবার ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে গত মার্চে যাঁদের কিস্তি পরিশোধের সময় ছিল, তাঁরা আগামী জুনেও শোধ করতে পারবেন। এই বিলম্বের কারণে কোনো গ্রাহককে খেলাপি করা যাবে না। আবার কোনো ধরনের অতিরিক্ত মাশুল, সুদ বা কমিশন আদায় করা যাবে না। এর আগে গত বছরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের একই সুবিধা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে গত ডিসেম্বরেই তার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ/লিজ/অগ্রিমের শ্রেণীকরণের বিষয়ে ইতিপূর্বে কিছু শিথিলতা আনা হয়েছিল। এখন একই কারণে যেসব গ্রাহক সাময়িকভাবে কিস্তি পরিশোধে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তাঁদের বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে মার্চের কিস্তি আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ হলে, তা বিরূপ মানে শ্রেণীকরণ করা যাবে না। এই সময়ের জন্য মাশুল, সুদ বা কমিশনের নামে কোনো অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না। গত বছরে ব্যাংক–বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকেরা স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণের কিস্তি শোধ না করলেও খেলাপি হননি। তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোনো গ্রাহক কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে আগামী জানুয়ারি থেকে ওই কিস্তির পরিমাণ ও সংখ্যা পুনরায় নির্ধারণ করতে পারবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ যাঁরা চলতি বছরে ঋণ শোধ করবেন না, তাঁদের আগামী বছর থেকে কিস্তির সংখ্যা ও পরিমাণ নির্ধারণ করা যাবে। যতসংখ্যক কিস্তি বকেয়া থাকবে, ঠিক ততসংখ্যক বাড়ানো যাবে। ঋণের ওপর সুদ হিসাবের ক্ষেত্রে কোনো দ-সুদ বা অতিরিক্ত কোনো অর্থ আদায় করা যাবে না। বর্তমানে দেশে ৩৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে কমপক্ষে ১০টি প্রতিষ্ঠানই দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।
—————
ফেসবুক লাইভে এবার হত্যার বদলে হত্যার হুমকি কাদের মির্জার
বার্তা ডেস্ক ॥
ফেসবুক লাইভে এসে পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করার দুই ঘণ্টার মাথায় আবার লাইভে এসে হত্যার বদলে হত্যার হুমকি দিলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র। আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে কাদের মির্জা তাঁর অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুকে লাইভে এসে এই হুমকি দেন। লাইভটি কাদের মির্জাসহ ২৬ জনের ফেসবুকে ট্যাগ করা হয়েছে। ফেসবুক লাইভে কাদের মির্জা অভিযোগ করেন, ‘নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি), দুর্নীতিবাজ অতিরিক্ত এসপি শামীম, কোম্পানীগঞ্জের দুর্নীতিবাজ ওসিÍএই তিনজন মিলে সিরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মিকনকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করেছেন। একটু আগে আমি খবর পেয়েছি, এই তিনজন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তাঁকে ক্রসফায়ারে দেবে।’ কাদের মির্জা বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনা কোম্পানীগঞ্জে কখনো ঘটেনি, আমরা করতে দিইনি। আজকে রাহাইচ্ছা (কাদের মির্জার ভাগনে ফখরুল ইসলাম ওরফে রাহাত) থানাকে টাকা দিয়ে ক্রসফায়ারে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ধরনের ঘটনার পরিণতি হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। আমি আমার এক ফোঁটা রক্ত থাকতে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে, তার জবাব কী দিয়ে দিতে হয়, ৪৭ বছরের রাজনীতির অভিজ্ঞতায় আমি অভিজ্ঞ। কীভাবে জবাব দিতে হয়, আমি জানি। হত্যার বদলে হত্যা। এটা ছেড়ে দেওয়া হবে না।’ সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের পুলিশের সমালোচনা করে বলেন, ‘আমি আজকে ৪৭ বছর রাজনীতি করি। কোনো পুলিশ আমার চোখের দিকে তাকাই কথা বলেনি। গায়ে হাত দেওয়া তো দূরে থাক। সম্মান করত, শ্রদ্ধা করত প্রত্যেকটা পুলিশ অফিসার। যাদের সাথে আমার লাগালাগি হয়েছে, তারাও কখনো আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলেনি। আমি বিরোধী দল করেছি, তখনো আমাকে সম্মান করত, শ্রদ্ধা করত।’ কাদের মির্জা দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে গালি দিয়ে ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘…আজকে আমার গায়ে হাত দেয়। আমাকে গালিগালাজ করে, আমার মাকে ধরে গালিগালাজ করে। আমার ছেলেদের ক্রসফায়ারে দেবে। রক্তের হোলিখেলা কোম্পানীগঞ্জে চলবে, এটা কোনো অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হবে না।’ কাদের মির্জা থানার পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘চোর-ডাকাত নিয়ে থানায় বসে থাক? যারা ব্যাংক ডাকাতি করেছে, যারা মানুষের অর্থ আত্মসাৎ করে, অস্ত্রবাজি করে, তাদের নিয়ে থানায় বসে তোমরা যুক্তি কর, তাদের মামলা তোমরা বসে বসে ড্রাফট কর, সেটা সাবমিট কর? সাংবাদিক মুজাক্কির, সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আলাউদ্দিন হত্যাকারী বাদইল্যা (মিজানুর রহমান বাদল) কীভাবে থানায় যায়? কোম্পানীগঞ্জে কীভাবে ঘোরফেরা করে?’ কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি, উনিও কোনো ব্যবস্থা নেন নাই। এটা চলতে দেওয়া যায় না। কোনো অবস্থায় কাউকে, সে পুলিশ হোক, আর যেই হোক, এমপি হোক, মন্ত্রীর স্ত্রী হোক, আর সচিব হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমার সন্তানের গায়ে হাত দিয়েছে, কারও সন্তান রেহাই পাবে না, আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিচ্ছি।’ দিনের প্রথম লাইভে মির্জা কাদের অভিযোগ করেন, আজ বেলা ১১টার দিকে তিনি কোম্পানীগঞ্জ থানায় আটক তাঁর অনুসারী সিরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নাজিম উদ্দিন ওরফে মিকনসহ সাতজন কর্মীকে দেখতে যান। থানায় যাওয়ার পর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং তাঁকে লাঞ্ছিত করেন। তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করা হয়।
—————-
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে আরও এক ধাপ পেছাল বাংলাদেশ
বার্তা ডেস্ক ॥
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ গত বছরের তুলনায় আরও এক ধাপ পিছিয়েছে। আজ মঙ্গলবার রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) ২০২১ সালের এই সূচক প্রকাশ করে। সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫২তম। সূচকে সবার শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। ২০২০ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫১তম। আর ২০১৯ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫০তম। অর্থাৎ, গতবারের সূচকেও বাংলাদেশের এক ধাপ অবনতি হয়েছিল। এবারের সূচকে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে। সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান (১৪৫), ভারত (১৪২), মিয়ানমার (১৪০), শ্রীলঙ্কা (১২৭), আফগানিস্তান (১২২), নেপাল (১০৬), মালদ্বীপ (৭৯), ভুটান (৬৫)। সূচকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আরএসএফের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সংকট এবং লকডাউন চলাকালে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশ ও বেসামরিক সহিংসতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। মহামারি ও সমাজে তার প্রভাব নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য অনেক সাংবাদিক, ব্লগার, কার্টুনিস্ট গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। আর বিশেষ উদ্দেশ্য অর্জনে সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করতে সরকারের কাছে এখন একটি বিচারিক অস্ত্র আছে। তা হলো ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এই আইনে ‘নেতিবাচক প্রচারণা’র দায়ে সর্বোচ্চ সাজা ১৪ বছরের কারাদ-। ফলে আত্মনিয়ন্ত্রণ (সেলফ-সেন্সর) অভূত পর্যায়ে পৌঁছেছে। সম্পাদকেরা সংগত কারণেই জেল বা গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঝুঁকি এড়াতে চান। সর্বশেষ ২০১৯ সালে পুনর্র্নিবাচিত হওয়ার পর সরকার গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে লক্ষণীয় কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের হাতে সহিংসতার শিকার হয়েছেন সাংবাদিকেরা। তাঁদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওয়েবসাইট ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। যেসব সাংবাদিক দুর্নীতি বা স্থানীয় অপরাধী চক্র নিয়ে অনুসন্ধান করেন, তাঁরা ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হন। এই নির্যাতনে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণমাধ্যম কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে, তার ভিত্তিতে ২০০২ সাল থেকে আরএসএফ এই সূচক প্রকাশ করে আসছে। ২০১৩ সাল থেকে এই সূচকে বাংলাদেশ আছে।
—————-
দেশে নতুন দরিদ্র এখন ২ কোটি ৪৫ লাখ: জরিপের ফলাফল
বার্তা ডেস্ক ॥
কোভিডের আঘাতে দেশে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ। নতুন এক জরিপে দেখা গেছে, ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে এই নতুন দরিদ্র শ্রেণির সংখ্যা জনসংখ্যার ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ হয়েছে। ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত যা ছিল ২১ দশমিক ২৪ শতাংশ। জরিপে যাঁরা সাধারণত দারিদ্র্যসীমার ওপরেই বসবাস করেন, কিন্তু যেকোনো অভিঘাতে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যেতে পারেন, তাঁদের নতুন দরিদ্র হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তবে দেখা গেছে, গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলে নতুন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেশি। এ বছরের মার্চ পর্যন্ত যেখানে শহরাঞ্চলে নতুন দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৫৯ শতাংশ, সেখানে গ্রামাঞ্চলে তা ৪৪ শতাংশ। এ হিসাব থেকে জাতীয় পরিসরে নতুন দরিদ্রের এ হিসাব (১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ) প্রাক্কলন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) এক জরিপের ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। ‘পভার্টি ডায়নামিকস অ্যান্ড হাউসহোল্ড রিয়েলিটিস’ শীর্ষক এই জরিপের (প্রথম পর্ব) ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান এবং বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন। অনুষ্ঠানে হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, কোভিডের আঘাত সব জায়গায় একইভাবে অনুভূত হয়নি। শহরের তুলনায় গ্রামে তার প্রভাব কমই দেখা গেছে। সে কারণে শহরের বস্তিবাসীর জীবন গ্রামের শ্রমজীবীদের তুলনায় অনেক বেশি অরক্ষিত। জরিপের তথ্য থেকে তিনি জানান, গত বছর ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ বস্তিবাসী শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যান, যাদের ৯ দশমিক ৮ শতাংশ এখনো ফেরেনি। প্রাক-কোভিড সময়ের তুলনায় শহরের বস্তিবাসীর আয় কমলেও খাদ্যবহির্ভূত ব্যয় গত জুনের তুলনায় এ বছরের মার্চে দ্বিগুণ হয়েছে। তিনি মনে করেন, ভাড়া বাড়িতে থাকা অধিকাংশ শহুরে দরিদ্রের জন্য এটি নির্মম বাস্তবতা। সবার সঞ্চয় কমেছে আশ্চর্যজনকভাবে। অরক্ষিত অদরিদ্র এবং দরিদ্র নয় এমন শ্রেণির মানুষের সঞ্চয়ের পরিমাণ কোভিড-পূর্ববর্তী অবস্থার চেয়ে নিচে নেমে গেছে। একই সঙ্গে সব শ্রেণিতেই ঋণ গ্রহণের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে দেখা গেছে, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে চরম দারিদ্র্যের হার সামগ্রিকভাবে ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দেশের কৃষি খাত অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছে বলে উল্লেখ করেন হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, কেবল কৃষক ছাড়া জরিপে অংশগ্রহণকারী বাকি সব পেশার মানুষের আয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় কমেছে। কিন্তু পুনরুদ্ধারের কথা যখন বলা হয়, তখন মূলত সামষ্টিক অর্থনীতির বড় বড় খাত, যেমন তৈরি পোশাক খাতের কথাই উল্লেখ করা হয়। জাতীয় পরিসরে কৃষির কথা সেভাবে উচ্চারিত হয় না। অনুষ্ঠানে ইমরান মতিন নারীদের কর্মহীনতার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, এমনিতেই দেশের শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণ কম, এই করোনা পরিস্থিতিতে নারীরা শ্রমবাজার থেকে আরও দূরে ছিটকে পড়তে পারেন। তিনি আরও বলেন, পেশা পরিবর্তন করে দিনমজুরের মতো ঝুঁকিপূর্ণ পেশা গ্রহণ করায় দরিদ্রদের দুরবস্থা আরও বাড়ছে। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকেরা ছাড়াও দেশের অর্থনীতিবিদ ও উন্নয়ন জগতের মানুষেরা উপস্থিত ছিলেন।
——————-
——————
করোনায় আক্রান্ত রাহুল গান্ধী, যা বললেন মোদি
বার্তা ডেস্ক ॥
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও এক কংগ্রেস নেতা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের পর সাংসদ রাহুল গান্ধীর করোনা রিপোর্টও পজিটিভ এলো। মঙ্গলবার দুপুরে টুইটারে নিজেই সে কথা জানান কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি। এদিকে রাহুলের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাহুল টুইটে লেখেন, ‘মুদৃ উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর করোনাভাইরাস পরীক্ষা করিয়েছিলাম। তাতে আমার কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যারা সম্প্রতি আমার সংস্পর্শে এসেছিলেন, তারা দয়া করে যাবতীয় সুরক্ষাবিধি মেনে চলুন এবং সুরক্ষিত থাকুন।’ কিছুক্ষণ পরে রাহুলের আরোগ্য কামনা করেন মোদি। তিনি টুইট পোস্টে বলেন, ‘লোকসভার সাংসদ রাহুল গান্ধীজির সুস্বাস্থ্য ও দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
————–
সেই জর্জ ফ্লয়েড হত্যার রায় যে কোন সময়, টানটান উত্তেজনা
বার্তা ডেস্ক ॥
বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত বিক্ষোভের সেই কৃষ্ণাঙ্গ বিদ্বেষমূলক হত্যাকান্ড তথা মার্কিন যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সারা আমেরিকায় টানটান উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এজন্যে কর্তৃপক্ষ যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলার সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে। হোয়াইট হাউজও নজর রেখেছে পরিস্থিতির ওপর। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এই মামলার রায় নিয়ে জণগণকে উষ্কে দেয়ার মত কোন পোস্টিং গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। টানা ১৪ দিনের যুক্তি-তর্ক শেষে সোমবার জুরিবোর্ড তাদের মতামত উপস্থাপন শুরু করেছেন। অর্থাৎ যে কোন সময় বহুল আলোচিত এই মামলার রায় দেবেন মিনেসোটার বিচারকেরা। গত বছর মে মাসে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার ডেরেক সৌভিনের হাঁটু চাপায় প্রাণ হারান জর্জ ফ্লয়েড। ৯ মিনিটেরও অধিক সময়ের এই নিষ্ঠুর আচরণের দৃশ্য পথচারি এক স্কুলছাত্রীর স্মার্ট ফোনের ভিডিওতে ধারন করার পর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও মামলার রায় কোন দিকে যাবে, তা বলা যাচ্ছে না। রায়ে সাবেক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা হত্যার দায় থেকে মুক্তি পেলে আবারো চরম ক্ষোভে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের কর্মীরা মাঠে নামতে পারেন। এবং ইতিমধ্যেই মিনিয়াপোলিস সিটিতে লোকজনের অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সেখানে কার্ফিউ জারি করা হয়েছে। নিউইয়র্ক, বস্টন, ফিলাডেলফিয়া, লসএঞ্জেলেস, ওয়াশিংটন ডিসি সহ বেশ কটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় প্রশাসনও প্রস্তুতি নিয়েছে যে কোন ধরনের উত্তেজনা প্রশমনে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সোমবার বলেছে, ডেরেক সৌভিনের বিরুদ্ধে প্রদত্ত রায়ের পর কেউ যাতে উষ্কানীমূলক মতামত/মন্তব্য অথবা ভিত্তিহীন/বিদ্বেষমূলক মতামত পোস্ট করতে না, সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এমনকি লোকজনকে অস্ত্রসহ রাজপথে নামার আহবানও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে না উঠানোর ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুক। ফেসবুকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিকা বিকার্ট বলেন, আমরা জানি এই বিচার-প্রক্রিয়া অনেক মানুষের জন্যেই বেদনাদায়ক। এজন্যে আমরা উদ্ভূত পরিস্থিতির সঠিক ভারসাম্য রক্ষা করতে চাই। রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে নিজ নিজ মতামত প্রকাশের অধিকার সুরক্ষা করতে আমরা বদ্ধপরিকর। একইসাথে সকলের নিরাপত্তার ব্যাপারেও আমরা যথেষ্ঠ সচেতন রয়েছি। এমন কিছু করা যাবে না যাতে জনজীবনের শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। সহিংসতা-উষ্কে দেয়ার মত কোনকিছু ফেসবুক প্রচার করবে না। অপরদিকে, হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, এই বিচারের দিকে গুরুত্বের সঙ্গে দৃষ্টি রাখছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। মামলার রায় ঘোষণার পর তিনি জাতির উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন বলেও প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি গণমাধ্যমকে বলেছেন।
————-
৮ বছর নিষিদ্ধ শ্রীলঙ্কান সাবেক অলরাউন্ডার
বার্তা ডেস্ক ॥
শ্রীলঙ্কান সাবেক অলরাউন্ডার দিলহারা লোকুহেত্তিগেকে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী আইন ভেঙার দায়ে সবধরনের ক্রিকেট থেকে ৮ বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালের ৩ এপ্রিল তার বিরেুদ্ধে অভিযোগ এনে সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এবার সেটিরই পূর্ণ রায় দিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। অবশ্য দিলহারার নিষেধাজ্ঞা তখন থেকেই বিবেচনা করা হবে। আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী আইনের তিনটি ধারা ভাঙার অভিযোগ আনা হয় লঙ্কান এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের বিরুদ্ধে। যার প্রথমটি, ম্যাচ পাতানোর চেষ্টা বা ম্যাচের ফল অন্যায়ভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা। দ্বিতীয়টি, দুর্নীতি বিরোধী বিধি ভাঙার উপযাচক, উদ্দীপক হিসেবে কাজ করা বা ভাঙতে প্রবৃত্ত করতে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কাজ করা। আরেকটি, অন্যায় প্রস্তাব পেয়েও আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটকে বিস্তারিত না জানানো। এর আগে ২০০৫ সালে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া লোকুহেত্তিগে এই সংস্করণে খেলেছেন ৯টি ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন দুটি।
————–