rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের লীলাভূমি সাগরকন্যা পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বছরের সবসময়ই কম-বেশি পর্যটক থাকে। কিন্তু পবিত্র রমজানের শুরু থেকেই পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) ছুটির দিন হওয়ার পরও পুরো সৈকত ছিল ফাঁকা। নামেমাত্র কয়েকজন পর্যটককে দেখা যায় সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকায়।সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে সরেজমিনে দেখা যায়, রাখাইন মার্কেট, বৌদ্ধ বিহার, ঝাউবন, শুটকিপল্লী, লেম্বুরবনসহ পুরো সৈকত পর্যটক শূন্য। তবে গত কয়েক মাস ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত ছিল এই ভ্রমণ স্পটগুলো।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর পরই পর্যটকদের পদচারণা বাড়তে থাকে কুয়াকাটায়। কিন্তু রমজানের শুরুতে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে বিশাল সম্ভাবনাময় সাগরকন্যা খ্যাত এই সমুদ্র সৈকত। তবে ঈদের ছুটিতে অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটবে এই প্রত্যাশা পর্যটক নির্ভর ব্যবসায়ীদের।
স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. শাকিল খলিফা বলেন, গত কয়েক মাস ধরে একটানা পর্যটকদের আনাগোনা ছিল। কিন্তু পবিত্র রমজান মাসের শুরু থেকেই ফাঁকা কুয়াকাটা। আমাদের বেচা বিক্রি নাই, রমজানের আগে যেখানে প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা বিক্রি করতাম, এখন ১০০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি করতেই কষ্ট হয়। পরিবার নিয়ে চলতেও কষ্ট হচ্ছে।
সৈকতের মোটরসাইকেল চালক মো. আলমাছ বার্তা২৪.কম-কে জানান, এখন তো রমজান মাসে ফাঁকা কুয়াকাটা। আমরা তো দিন আনি, দিন খাই। পর্যটকদের উপরই নির্ভরশীল আমরা। বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অনেক বেশি, আমাদের ব্যয় বাড়ছে কিন্তু সে অনুসারে আমাদের আয় নেই এখন। স্ত্রী সন্তান নিয়ে কষ্টে দিন পার করছি।
ট্যুর অপারেটর’স অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, পবিত্র রমজান উপলক্ষে আমাদের পর্যটক কিছুটা কম। তবে ২০ রমজানের পর পর্যটকদের আগমন কিছুটা বাড়বে এবং ঈদের পরে লাখো পর্যটকদের আগমন হবে বলে আমরা আশা করি। যার ফলে হোটেল-মোটেলগুলো তাদের সার্বিক কাজগুলো সেরে নিচ্ছে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব শরীফ বলেন, পবিত্র রমজান মাসের শুরুতে পর্যটক থাকে না বললেই চলে, কিন্তু ২০ থেকে ২৫ রমজানের পর থেকেই আমাদের হোটেল গুলো আসন্ন ঈদ উপলক্ষে শতভাগ বুকিং হয়ে যায়। তারই ধারাবাহিকতায় পরিপাটি করা হচ্ছে হোটেল মোটেলগুলো।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, কুয়াকাটার বিভিন্ন পয়েন্টকে কেন্দ্র করে আমাদের বিভিন্ন টিম কাজ করছে। যেসব পর্যটক এখন কুয়াকাটায় রয়েছে তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছি। তাদের শতভাগ সেবা নিশ্চিতে আমরা বদ্ধপরিকর।