বার্তা ডেস্ক ॥ দীর্ঘ দিন আতœগোপনে থাকা সৌদিয়া বহুমুখী প্রকল্প নামের কতিথ পরিচালক এবাদুল ওরফে সাজ্জাদ শেখকে মিরপুর ঢাকা থেকে র্যাবের সহযোগীতায় বুধবার রাতে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ গ্রেফতার করেন । থানা সূত্রে জানা যায়, ইন্দুরকানী উপজেলার কলারন গ্রামের ফজলুর রহমান শেখের ছেলে সাজ্জাদ শ্যামলী থানায় ২০০৭ সালে একটি প্রতারনা মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী ছিল। তার গ্রেফতারের সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হইলে বৃস্পতিবার সকালে ইন্দুরকানী,মোড়েলগঞ্জ ও পিরোজপুরের উপজেলার শত শত ভুক্তভোগি নারি পুরুষ ইন্দুরকানী থানার সামনে জরো হয় বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকুরি, উন্নয়নমুলকক সেবা কার্যক্রম, হতদরিদ্রের ঘর ,মসজিদ নির্মান, মাদরাসা, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়, হেফজখানা, গরু ছাগলের খামার, হাঁস-মুরগীর খামার, মৎস্য চাষ ও ধান চালের প্রকল্প চালু করার অজুহাতে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক এমদাদুল ওরফে সাজ্জাদ । প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তার কার্যক্রম না থাকায় ভুক্তভোগিরা চাপ প্রয়োগ করলে তিনি এলাকা থেকে আত্মগোপন করেন । পরে তার বিরুদ্ধে মোড়েলগঞ্জ থানায় মামলা ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগীরা। প্রতারনার স্বীকার লায়লা,লাকি,মোস্তফা,মেসকাত,নিলুফা,জানান, চরহোগলা বুনিয়া এলাকায় একটি প্রকল্পের উদ্ধোধনের সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন সহ সরকারি দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । তাদের বিশ্বাসে আমরা টাকা দিয়েছি । সাজ্জাদ আত্মগোপনে গেলে ঐ প্রকল্পের আওতায় থাকা ৫০ লক্ষ টাকার মালামাল চেয়ারম্যান নিজ দায়িত্বে নিয়ে যায়। আমাদের টাকা পরিশোধও করেন না বরং টাকা চাইতে গেলে আইনির ব্যবস্থা নিতে বলেন । অভিযুক্ত এবাদুল সাজ্জাদ জানান, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করিছিলাম । কিন্তু আমার ফুফাতো ভাই মাস্টার সরোয়ার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এবং প্রভাবসালিরা আমাকে ডাল হিসেবে ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ।
ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, গোপন সংবাদরে ভিত্তিতে পাচঁ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও এলাকার আলোচিত প্রতারক এবাদুল হক সাজ্জাদকে এএসআই মুনছুর আলী ও র্যাবের সহযোগীতা নিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।