rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ উপজেলা সদরের চরমোনাই গিলাতলী ও টুঙ্গিবাড়িয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের দৃষ্টি-নন্দন গৃহগুলো নজর কেড়েছে বরিশাল জেলার বাসিন্দাদের। বেদে সম্প্রদায়, সহায় স্বম্ভলহীন, অসহায় ভূমিহীন সেই সব মানুষগুলো এখন স্বপ্ন দেখছে সুন্দর ভাবে বেচেঁ থাকার। বর্তমান সরকার প্রধান ৪র্থ ধাপে ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’ জেলার ভূমিহীনদের আয়বর্ধক পরিবারে উন্নীত করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি উদোগ্যের ১টি উদোগ্য। প্রায় প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গিলাতলী আশ্রয়ণ প্রকল্পে আসা দশনার্থীদের ভিড় বাড়ছে। ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’র গৃহ নির্মাণের সঠিক নির্মাণ কৌশল দেখে প্রশংসাও করেছেন দর্শনার্থীরা। জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিগত প্রায় ১ মাস ধরে গিলাতলী আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহগুলো দেখতে আসেন। বর্তমানে ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’ টেকসই ঘর নির্মানে জেলার সদর উপজেলার গিলাতলা, টুঙ্গিবাড়িয়া, সাপানিয়া, তালুকদার হাটসহ বেশ কিছু স্থানে উপকার ভোগীদের মধ্যে ৪র্থ ধাপের গৃহ নির্মাণ করে তা প্রদান করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র আরো জানায়, ‘আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বর্তমান সরকার জেলার বহু অসহায় মানুষের মাঝে ৪র্থ ধাপে জমিসহ গৃহ বুঝিয়ে দেয়। জেলার সদর উপজেলায় ৮১২টি, বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ৫৪৩টি, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় ৯১৫টি, উজিরপুর উপজেলায় ৫৩৩টি, বানারীপাড়া উপজেলায় ৬৮৫টি, গৌরনদী উপজেলায় ৭৪১টি, মুলাদী উপজেলায় ৪৪৫টি, বাবুগঞ্জ উপজেলায় ৪৬৬টি, হিজলা উপজেলায় ৫৭৩টি, ও আগৈলঝাড়া উপজেলায় ২২২টি। সর্বমোট প্রায় ৫ হাজার ৯ শত ৩৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমি ও গৃহ প্রদান করেছেন। পাশাপাশি আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাঝেই নির্মাণ করা হয়েছে শিশুদের খেলাধুলার জন্য একটি পার্ক।
সরোজমিনে জেলার একাধিক আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘুরে দেখাগেছে, ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’-এর আওতায় জমিসহ গৃহ পেয়ে এই মানুষগুলোই আজ আয়বর্ধক পরিবারে উন্নীত হয়ে উঠেছে। নদী ভাঙ্গনের শিকার, ভূমিহীন, বেদে সম্প্রদায়, সহায় স্বম্ভলহীন প্রতিটি মানুষের বসতি যেন আজ বর্তমান সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পে। জমিসহ গৃহ পেয়ে তারা আজ নিজ নিজ আঙ্গিনায় গড়ে তুলেছে এক একটি খামার। কেউ গড়ে তুলেছে সবজি বাগান, কেউবা হাসঁ-মুরগীর খামার। তারা তার পরিবারকে গড়ে তুলেছে আয়বর্ধক পরিবারে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার নাসরীর বেগম কষ্টের দিনগুলো মনে করে কন্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে তিনি বলেন, এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি ঘর পেয়েছি। সেই সব কষ্ঠে দিন এখন আমাদের পরিবারে আর নেই। সেই সব ভাবনা এখন আর নেই। নিজেদের একটা ঠিকানা হয়েছে এই যথেষ্ঠ। এজন্য বর্তমান সরকারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, স্বামী শহরে রিকশা চালায় ও আমি একটি হাসঁ-মুরগীর একটি ছোট খামার গড়ে তুলেছি। সেই খামার থেকে প্রতি মাসে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা আয় করি।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম চলমান প্রকল্পের সাফল্যর উদাহরন দিয়ে বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের পুনর্বাসিত সুবিধাভোগীরা আত্ম-কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। পর্যায়ক্রমে জেলার শতভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী যাদের ভূমি ও গৃহ নেই, তাদের বসবাসের জন্য গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় বাসিন্দাদের বর্তমান সরকার শুধু থাকার সুযোগই সৃষ্টি করেনি। তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ, স্বাস্থ্য সেবা, স্যানিটেশন, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, বিদ্যুতায়ন, শিশুপার্ক এবং তাদের সন্তানদের শিক্ষার ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন।