বার্তা ডেস্ক ॥ পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও ভোলার বাজারে মাছের দাম যেন আকাশ ছোঁয়া। কোনোমতেই কমছে না মাছের দাম।
এদিকে গরু ও খাসির মাংসের দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও বাড়তির দিকে মুরগির দাম।
ভোক্তাদের অভিযোগ, প্রতিদিন কোনো না কোনো মাছের দাম বাড়ছে। আর তাই নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ক্রেতাদের। তবে মাংসের দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও মাছের দামে নাভিশ্বাস।
দরদাম নিয়ে ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও দাম নিয়ন্ত্রণে নেই কোনো মনিটরিং। ফলে ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছে মতো বিক্রি করছেন।
বুধবার (২০ মার্চ) সকালে ভোলার কিচেন মার্কেট ঘুরে এমন চিত্রের দেখা মেলে।
ভোলার বাজারে প্রতি কেজি চিংড়ি ও কই বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে রুই, কাতলা ও ছুড়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা কেজি দরে। পোয়া মাছের দামও চড়া। বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে সাড়ে ৪শ থেকে ৬শ’ টাকায়। ছোট ছোট মাছের দামও নাগালের বাইরে। পুঁটি, মলন্দা ও কাকচি বিক্রি হচ্ছে ৪শ’ টাকা কেজি। তবে কিছুটা সহনীয় অবস্থায় পাঙ্গাস আর তেলাপিয়া থাকলেও দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকা।
এদিকে মাছ কিনতে এসে অভিযোগের যেন শেষ নেই ক্রেতাদের। ক্রেতা সাইফুল আলম বাপ্পী ও সবুজ বলেন, মাছের বাজারের দরদামের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। এতো দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। আমরা বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র। মাংসের বাজারে গরুর মাংস প্রতিকেজি ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকা। এছাড়া মুরগির দামও চড়া।
ক্রেতাদের অভিযোগ প্রতিদিন কোনো না কোনো পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। তবে বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় মাছের দাম বেশি। আর পাইকারি বাজারে বেশি দামে কেনার ফলে বাধ্য হয়েই গরু ও খাসির মাংস বেশি মূল্যে বিক্রি করছেন তারা।
মাংস বিক্রেতা মো. হারিস বলেন, আমাদের বেশি দামে গরু কিনে আনতে হচ্ছে তাই লোকসান এড়াতে বেশি দামে মাংস বিক্রি করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ভোলার জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন মনিটরিং চলছে। কারো বেশি দামে বিক্রির সুযোগ নেই।