আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

ট্রাফিক আইন মেনে চলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২২ ২:০৩ অপরাহ্ণ ট্রাফিক আইন মেনে চলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
Spread the love

অনলাইন ডেস্ক:

সড়কে দুর্ঘটনা রোধে এবং নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে পথচারীদের ট্রাফিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনারোধে সারাদেশের জাতীয় মহাসড়কে ২০১০ থেকে ২০১২ সালে ২০৯টি ব্ল্যাকস্পট (দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান) চিহ্নিত করা হয়েছে। তাতে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে আরও ২৫২টি দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান চিহ্নিত করা হয়। এরমধ্যে ১৭২টির প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ৮০টি ব্ল্যাকস্পটেও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর ফলে সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে।

এসময় পথচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের দেশে একটা প্রবণতা আছে- দুর্ঘটনা হলেই গাড়ির ড্রাইভারকে পেটানো হয়। অনেক সময় গণপিটুনিতে তাকে মেরেই ফেলে। কেন দুর্ঘটনা ঘটলো, কার দোষে ঘটলো- সেটা খুঁজে বের করা দরকার। আর সবার ট্রাফিক রুল সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দরকার এবং সেটা মেনে চলা দরকার। মোবাইল ফোন কানে দিয়ে সড়ক পার, রেললাইনে চলা বন্ধ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ দৌড়ে রাস্তা পার হবেন না। রাস্তা পারাপারেই কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সব জায়গায় ফুট ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাস করা আছে। সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের বলব, রাস্তায় চলাচলে ট্রাফিক রুল মানতে হবে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাফিক রুলটা শেখাতে হবে।

তিনি বলেন, স্কুলে যাতায়াতে নিরাপদে রাস্তা পারাপারে ট্রাফিক পুলিশ সহায়তা করবে, তবে স্কুল কর্তৃপক্ষেরও লোক রাখতে হবে। অনেক সময় বাচ্চারা অন্যদের মানতে চায় না। স্কুল কর্তৃপক্ষের লোক থাকলে ঠিকই মানবে। প্রত্যেকটা স্কুলকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশ দেবে, যাতে তাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপারে উদ্যোগ নেয়।

করোনা সংক্রমণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনা নতুনভাবে হানা দিয়েছে। সবাই নিয়ম মেনে চলবেন। মাস্ক পরবেন। সবকিছু স্বাভাবিক চলুক আমরা চাই। উন্নয়নের বিভিন্ন কাজ করছি। ফলে আমরা দ্রুত এগিয়ে যাব। ২২ সালে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প আছে আমরা সেগুলো উদ্বোধন করব। দেশের মানুষের জন্য গত ১৩ বছরে আমরা অবকাঠামোগত বিভিন্ন উন্নয়ন করেছি। এটি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতায় ঢাকা এয়ারপোর্ট মহাসড়কে শহিদ রমিজ উদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন পথচারী আন্ডারপাস, সিলেট শহর বাইপাস-গ্যারিসন লিংক ৪ মহাসড়ক, বালুখালী (কক্সবাজার)-ঘুনধুম (বান্দরবান) সীমান্ত সংযোগসড়ক এবং রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর চেংগী নদীর উপর ৫০০ মিটার দীর্ঘ সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং চিফ মেজর জেনারেল ইবনে ফজল শায়েকুজ্জামান প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। প্রকল্পের স্পট থেকে সরকারি কর্মকর্তা ও উপকারভোগীরাও অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।