আজকের বার্তা | প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪ ৫:৪৩ অপরাহ্ণ
Spread the love
বার্তা ডেস্ক ॥ অসুস্থ বাবাকে ঘরে রেখে বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলে শিক্ষা সামগ্রী নিতে ছুটে এসেছে জিদান (১১)। বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের (ক্যাম্পাস-৪) দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সে। বাবা কবির খাঁন। পেশায় একজন দিন মজুর।গত কয়েকমাস শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ঘরে পড়ে আছেন তিনি। চিকিৎসক বলছে- শরীরের দুটো কিডনি ড্যামেজ হয়েছে। তবে, এতো মন খারাপের মাঝেও এক চিলতে হাসি লেগে আছে শিশুটির মুখে। কারণ সবাই আজ স্কুলে পোশাক, ব্যাগ খাতা-কলম, জুতা পেন্সিলসহ যাবতীয় শিক্ষা সরঞ্জাম পেয়েছে।
তাই নতুন উপকরণ পেয়ে জিদানের সকল সহপাঠিরাও খুশি।‘স্যার আমার বাবা অসুস্থ মা’ও আসেনি। স্কুল থেকে এসব বই খাতা না দিলে কেনার মত সুযোগ ছিলো না। আমি বারোটা খাতা ৪টি পেন্সিল, রাবার, স্কুলের ব্যাগ ও জুতা- ড্রেস পেয়েছি।এতে আমার অনেকদিন চলে যাবে।’ বলে অনুভুতি ব্যক্ত করে জিদান।
ছেলের সঙ্গে শিক্ষা উপকরণ নিতে আসা ময়না বেগম বলেন, ‘কয়েকমাস যাবত ওর বাবার অসুস্থতার কারণে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। এর মধ্যে দুটো ছেলের পড়াশোনা নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিলো। আজ স্কুল থেকে অনেক জিনিস দিয়েছে।
এখন আর ছেলেদের পড়াশোনার খরচ নিয়ে ভাবতে হবে না।’
বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা মোসা. হাবিবা বলেন, ‘জিদান আমাদের স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী। কয়েকমাস যাবত অনেক অসুস্থ জিদানের বাবা কবির খাঁন। দুটো ছেলে-স্ত্রী নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পরিবারটি। বসুন্ধরার শিক্ষা উপকরণ পেয়ে শিশুটির পড়াশোনার খরচটা অন্তত বাবা-মা’র বেঁচে গেল।
তিনি আরো জানান, শুধু জিদানই নয়। এই চরের অধিকাংশ পরিবার দরিদ্র অসহায়। ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার খরচ জোগাতে না পেরে শিশুদের কাজে পাঠিয়ে দিত অধিকাংশরা। তবে এখন স্কুলে নিয়মিত শিশুদের শিক্ষা উপকরণ দেওয়ার ফলে অনেক অভিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠান।