rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ বরিশালে সমাপ্ত হলো চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ফাল্গুনের মাহফিল। এ মাহফিলে আগত পাঁচজন মুসল্লির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় সমাপনী অধিবেশন ও আখেরি মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় এ মাহফিল এর আগে মাহফিলটি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বাদ জোহর মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়।
স্থানীয় অস্থায়ী হাসপাতাল সূত্র পাঁচজন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। চরমোনাই মাহফিলে আগত মুসল্লিদের মধ্য হতে ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে মুন্সিগঞ্জের মো: আজমত শেখ, একই রাত ৯টা ২৫ মিনিটে মুন্সিগঞ্জের মো: হাশেম রাড়ী, ২৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে পটুয়াখালীর সুলতান প্যাদা, ১ মার্চ রাত ১টা ৪৫ মিনিটে খুলনার মো: আনোয়ার হোসেন, একই তারিখ রাত ২টা ৫ মিনিটে মুন্সিগঞ্জের শামসুল হক কাজী মৃত্যুবরণ করেন।
সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মানুষ আজ আল্লাহকে ভুলে নাফরমানি করছে অহরহ। অথচ একজন মানুষ কবরে গিয়ে মাফ না পাওয়া পর্যন্ত নিজেকে নিকৃষ্ট পশুর মতো মনে করতে হবে। সুতরাং তাক্বওয়া বা আল্লাহর ভয় অর্জনের মাধ্যমে মহান রবের সন্তুষ্টি নিয়ে কবরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। আল্লাহর ভয় যার অন্তরে নেই ওই মানুষ এমনকি আলেম, মুফতি ও পীরের কোনো মূল্য নেই।
সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই মাহফিল বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আখেরি মুনাজাতে অংশ নেয়া প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সম্মানিত ওলামায়ে কেরাম এবং গণমাধ্যমকর্মীদের মোবারকবাদ জানান তিনি।
আখেরি বয়ানের পর পীর সাহেব চরমোনাই বিভিন্ন লিখিত প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় তিনি মুরিদানদের সঠিক পথে পরিচালিত হবার বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন। অতঃপর তিনি তাওবা করিয়ে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার শপথ করান।
আখেরি মুনাজাতে পীর সাহেব চরমোনাই ভারত, কাশ্মীর, মিয়ানমার, ফিলিস্তিন ও সিরিয়াসহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করেন।
তাদের লাশ জানাজা শেষে নিজ নিজ এলাকায় প্রেরণ করা হয়। এছাড়া চরমেনাই অস্থায়ী মাহফিল হাসপাতালে আগত মুসল্লিদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।