আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

ঈদকে সামনে রেখে নিত্য যানজটের বরিশাল মহানগরীর পরিস্থিতি আরো নাজুক


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ০৬, ২০২৪ ৬:১৮ অপরাহ্ণ ঈদকে সামনে রেখে নিত্য যানজটের বরিশাল মহানগরীর পরিস্থিতি আরো নাজুক
Spread the love

সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে বরিশাল মহানগরীতে যানজট সর্বকালের নাজুক পরিস্থিতি তৈরী করেছে। নগরীর কিছু এলাকার পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশের। মাঠ পর্যায়ে ইনেসপেক্টর পদ মজাদার কমর্কতাগন কাজ করলেও পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাচ্ছেনা। পুরো মহানগরী যুড়ে বৈধ-অবৈধ ইজিবাইকের সাথে অবৈধ ব্যাটারী চালিত রিক্সার ছড়াছড়ি পরিস্থিতিকে নাজুক পযায়ে নিয়ে গেছে। সড়কের পাশে যানবাহনের পার্কিং, ঈদোর কেনাকাটায় জনসমাগমের বাড়তি চাপ এবং আগে চলার লাগামহীন প্রতিযোগীতা পরিস্থিতিকে প্রতিনিয়ত দুসহ করে তুললেও তা থেকে উত্তরন ক্রমশ দুরুহ হয়ে উঠছে।পাশাপাশি এবার ঈদে বেশীরভাগ ক্রেতাগন সহনীয় দামে ঈদের পোষাক থেকে বিভিন্ন সামগ্রী কিনতে ছোট বড় দোকানের বদলে ফুটপাথকে বেশী প্রাধান্য দেয়ায় পরিস্থিতির অবনতি তড়ান্বিত হচ্ছে। ফলে বাড়তি যানযটে পুরো নগরী অচলবস্থার মুখে।
৩০টি ওয়াডের ৬০ বগ কিলোমিটারের এ মহানগরীতে সিটি করপোরেশনের রাস্তার পরিমান দেড়শ কিলোমিটারের বেশী নয়। কিন্তু রাস্তার আয়তনের তুলনায় কয়েকগুন বেশি যানবাহনের কারণে বছর যুড়েই নগরীর কয়েকটি এলাকায় যানযট নিয়মিত ঘটনা হলেও ঈদকে সামনে রেখে পরিস্থিতি এখন বণনার বাইরে। নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডের কাকলির মোড় থেকে শুরু করে বিবির পুকুর পাড় হয়ে গীর্জা মহল্লায় এখন যানবাহন নিয়ে প্রবেশ দূরের কথা, পায়ে হেটে চলারও পরিস্থিতি নেই। অন্যদিকে পুরো চকাবজার, ও কাটপট্টিতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হলেও সেখানে প্রায়সই কিছু মোটর বাইক নিয়ে বেপরোয়াভাবে ঢুকে পড়ছেন কতিপয় যুবক। জেলখানার মোড়, বটতলার মোড়, শশী মিষ্টান্ন ভান্ডার এলাকা, নবগ্রাম রোড-চৌমহনী, সাগরদী ব্রীজ থেকে পুরো রূপাতলী এলাকা ছাড়াও নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টারমিনাল এলাকা এবং নতুন বাজার এলাকায় সবসময়ই যানজট লেগে থাকছে।পরিস্থিতি সামাল দিতে ট্রাফিক বিভাগ পূর্ব পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করলেও পরিস্থিতি সামাল দিতে যথেষ্ঠ হিমশিম খাচ্ছে। ঈদের চাপ সামাল দিতে কয়েকদিন আগেই সদর রোডে ব্যাটারিচালিত সব ধরনের যানবাহনের প্রবেশ সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। এ অবস্থায়ই শুক্রবার থেকে মহানগর ট্রাফিক পুলিশে বাড়তি সদস্য যোগ হয়েছে। এছাড়া ব্যস্ত এলাকাগুলোতে সাধারনের যানবাহন পার্কিং এর জন্য আলাদা স্থান করা হয়েছে। এর পরেও যারা সড়ক আটকে পাকিং করে, তাদের সাবধান করতে সড়কের পাশে পার্ক করা গাড়ি আটকের অভিযানও পরিচালিত হচ্ছে।

এসব কিছুর পরেও যানবাহনের আধিক্যে ট্রাফিক পুলিশের সব চেষ্টা ব্যর্থতায় পরিনত হচ্ছে অনেক এলাকায়। কিছু কিছু এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরেও চলে যাচ্ছে। সন্ধ্যায় ইফতারের আগে যানজট কিছুটা সহনীয় থাকলেও ৭টার পর থেকে রাত ১০টা পযর্ন্ত পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।
এর সাথে গত কয়েক দিনের অসহনীয় গরমে পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেক ট্রাফিক পুলিশ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। চালকদের দাবী শহর ও তার রাস্তাঘাটের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কোন কিছুই আর নিয়ন্ত্রনে রাখা যাচ্ছে না। ঈদকে সামনে রেখে মহানগরীর বাইরে বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও অন্যান্য জেলা থেকেও এ মহানগরীতে কেনাকাটা করতে আসা মানুষ ও তাদের যানবাহনগুলো বাড়তি চাপ তৈরি করেছে। ঈদের আগের কয়েকটি দিন এ অস্বাভাবিক পরিস্থিতি থেকে উত্তরন দুসাধ্য বলেও মনে করছেন ওয়াকিবাহল মহল।

এ ব্যপারে মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্র থেকে ‘সম্ভব সব কিছু করা’র কথা জানান হয়েছে। এমনকি ঈদের আগে নগরীর ৩টি প্রবেশ মুখ- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, কালিজিরা এবং গড়িয়ার পাড়ে চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। পাকিং এর জন্য গীর্জা মহল্লায় একটি আলাদা স্পেস তৈরি করা হয়েছে। নগরীর যে সকল স্পটগুলোতে যানজট হচ্ছে, সেসব এলাকায় অতিরিক্ত ট্রাফিক সার্জেন্টকে দায়িত্ব প্রদান করার কথাও জানান হয়েছে । পাশাপাশি খোদ পুলিশ কমিশনার পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন। তার নির্দেশনায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান বিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বশীল মহল।