rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরের মো. সোহাগ ভূঁইয়া (৩০) নামের এক আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে একই এলাকার ৪ পরিবার নিঃস্ব হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আদম ব্যবসায়ী সোহাগ নাজিরপুর সদর ইউনিয়নের রুহিতলাবুনিয়া গ্রামের আলমগীর ভূঁইয়ার ছেলে।
ভুক্তোভোগীরা হলেন উপজেলার একই গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কাজীর ছেলে জুয়েল কাজী, সামসুল হক কাজীর ছেলে কাজী এমদাদুল হক, মৃত আব্দুল মালেক কাজীর ছেলে কাজী আল-মামুন। এ ছাড়া ঝালকাঠী জেলার ১ নম্বর চেচরিরামপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চেচরি গ্রামের তৈয়ব আলী হাওলাদারের ছেলে আল-আমিন হওলাদার। এদের প্রত্যেকের কাছে থেকে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ টাকা আৎসাত করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে ওই ৪ ভুক্তভোগী পুলিশ সুপার, পিরোজপুরে অভিযুক্ত আদম ব্যবসায়ী সোহাগ ও তার পিতা আলমগীর ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
জানা যায়, মো. সোহাগ ভূঁইয়া কয়েক বছর যাবৎ দুবাই থাকেন ও সেখানে এবি ট্রাভেল অ্যান্ড টাইপিং এবং সোহাগ ভূঁইয়া প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস নামের দুটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এ সুবাদে তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে নিজ এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সাধারণ মানুষকে মোটা অংকের বেতনে চাকরি ও ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে দুবাই নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীদের কোনো চাকরি না দিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও জিম্মি করে স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর রেখে টাকা দাবি করে এবং টাকা না দিলে দুবাই পুলিশকে দিয়ে ধরিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর হুমকি দেয়। এ ছাড়া প্রতারক সোহাগ ভূঁইয়ার পিতা আলমগীর ভূঁইয়া তিনি নিজ এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক সংগ্রহ করে ছেলের এ প্রতারণা সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগী কাজী আল মামুনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ওই প্রতারক সোহাগের সঙ্গে আমার খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল। সে আমাকে দুবাই তার ব্যবসার অংশীদার হিসাবে রাখবে বলে আশ্বাস দেয় এবং আমি আমার ভিটে মাটি বিক্রি করে ওই প্রতারক সোহাগের প্রলোভনের গত বছরের ৩ জুন তার বাবা আলমঙ্গীর ভূঁইয়ার কাছে দুই ধাপে তাকে ২১ লাখ টাকা প্রদান করি। পরবর্তীতে আমি দুবাই গেলে আমাকে কোনো কাজ বা ব্যবসার অংশীদার না দিয়ে কয়েক মাস জিম্মি রেখে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে রাখে এবং দেশে ফেরত না গেলে আমাকে দুবাই পুলিশ দিয়ে ধরিয় মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলা হাজত খাটাবে মর্মে হুমকি দেয়। আমি প্রাণ ভয়ে দেশে ফিরে এলে আমাকে ৪ লাখ টাকা ফেরত দেয় বাকি ১৭ লাখ টাকা ফেরত চাইলে আমাকে মারধর এবং মিথ্যা মামলার জন্য হুমকি-ধামকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে আমি পুলিশ সুপার পিরোজপুরের বরাবরে একটি লিখিত অভিযাগ করি।
অভিযুক্ত দুবাই প্রবাসী সোহাগ ভূঁইয়ার মোবাইল কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোাস্তাফিজুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। আমি ওসি ডিবিকে ঘটনার সত্যতা যাচাই সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ প্রদান করেছি।