rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ আমতলীতে আলোচিত তানজিলা হত্যা রহস্য পুলিশ উদঘাটন করেছে। অপহরণকারী হৃদয় খাঁনের মুক্তিপণ দাবী করা মোবাইলের সুত্র ধরেই এ রহস্য উদঘাটন করা হয়। অপহরণকারী হৃদয় খাঁন ও জাহিদুল খাঁন মাদ্রাসা ছাত্রী তানজিলাকে অপহরণ শেষে ধর্ষণ করে। পরে তানজিলার বাবার কাছে ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। ওই দাবীকৃত টাকা না পেয়েই অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করেছে। আসামি হৃদয় খাঁন ও জাহিদুল খাঁন পুলিশের কাছে এ হত্যা রহস্য স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে আমতলী থানায় হৃদয় খাঁন, জাহিদুল খাঁনসহ আরো অজ্ঞাত ৩ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ঘাতকদের কঠোর শাস্তি দাবীতে বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। জানাগেছে, উপজেলার পুঁজাখোলা গ্রামের তোফাজ্জেল খাঁনে মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়-য়া কন্যা তানজিলাকে সোমবার সকালে বাড়ীর সামনে থেকে চাচাতো ভাই হৃদয় খাঁন ও জাহিদুল খাঁন অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে একটি বাড়ীতে রেখে তারা অপরূতাকে ধর্ষণ করে। ওইদিন রাতেই অপহৃতার বাবা তোফাজ্জেল খাঁনের কাছে হৃদয় খাঁন তার মোবাইল থেকে ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন। বাবা তোফাজ্জেল খাঁন মুক্তিপণ দিতে বিলম্ব করে। পরে তারা তানজিলাকে হাত-পা বেঁধে গলায় স্কার্ফ পেচিয়ে হত্যা করে। ঘাতকরা হত্যা করেই খ্যান্ত হয়নি তানজিলার মরদেহ পুজাখোলা খালের চরে হোগলপাতার খেতে কাঁদা মাটির মধ্যে লুকিয়ে রাখে। আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার তানজিলার বাবা তোফাজ্জেল খাঁন আমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে পুলিশ হৃদয় খাঁনকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে অপহরণের দুইদিন পরে তানজিলার বাড়ীর সামনে খালের চরে হোগলপাতার খেতের মধ্য থেকে বুধবার দুপুরে তার হাত-পা বাঁধা গলায় স্কাফ পেচানো মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে তানজিলার বাবা তোফাজ্জেল খান বাদী হয়ে ঘাতক হৃদয় খাঁন এবং জাহিদুল খাঁনসহ আরো অজ্ঞাত ৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতে বিচারক মোঃ আরিফুর রহমানের কাছে আসামিরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধি দেন। পরে ওইদিন বিকেলে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এদিকে আসামি হৃদয় খাঁন ও জাহিদুলের কঠোর শাস্তির দাবীতে বৃহস্পতিবার সকালে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। তানজিলার বাবা তোফাজ্জেল খাঁন কান্না জনিত কন্ঠে বলেন, অপহরণকারী হৃদয় ও জাহিদুলের পায়ে পরে আমার মেয়ের জীবন ভিক্ষা চেয়েছি। কিন্তু ওরা আমার মেয়েকে বাঁচতে দিল না। আমার মেয়েকে নির্মম নির্যাতন শেষে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনায় ওদের কঠোর বিচার দাবী করছি। আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি হৃদয় ও জাহিদুল ঘটনার বর্ননা দিয়েছে। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।