বার্তা ডেস্ক ॥ একবার ভাসছে, আবার ডুব দিচ্ছে– লাল, নীল, কমলা, বাদামি রঙের মাছের ছড়াছড়ি। রেডসিচলিড, অ্যালবিনো কই, মুনটেল মনি রেডিয়া মুনটেল মনি, প্লাটি ফিশ, রেড মস্ক, ব্ল্যাক মস্ক, গাপ্পি, মলি, সোর্ডটেল, ডিস্কাস, অ্যাঞ্জেল, গোল্ডফিশ, ফাইটার, গোরামিসহ মন মাতানো ও চোখ জুড়ানো বাহারি মাছের সমাহার দেখা যায় ভাণ্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের পুকুরে।
পরিষদের চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম শখের বশে ছয় মাস আগে পরিষদের পুকুরে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার রঙিন মাছ ছেড়েছিলেন। ১৫ প্রজাতির ছোটবড় ১০ হাজারের বেশি মাছ ছাড়া হয়। মাছগুলোকে খাবার দেওয়াসহ পরিচর্যার জন্য দু’জন লোক নিয়োগ করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদে গিয়ে দেখা গেছে, চত্বরজুড়ে নানা ধরনের ফুলের সমাহার। মন ভালো হয়ে যাবে যে কারও। এর সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে পরিষদের পুকুরটি। সেতু দিয়ে পুকুরের মধ্যে সংযুক্ত করা হয়েছে বসার স্থান ও সিঁড়িসহ ঘাট। জলরাশিতে রঙিন মাছের খেলায় চোখ জুড়িয়ে যায়। সাধারণত অ্যাকোয়ারিয়ামের রঙিন মাছ ছোট হয়। তবে পুকুরে চাষ করা মাছগুলো আকারে বেশ বড়। তিন থেকে চার কেজি ওজনের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে এ পুকুরে।
চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম বলেন, শুরুতে এলাকার মানুষ হাসাহাসি করতেন। খেয়ালিপনা মনে করতেন। এখন এলাকার মানুষের পাশাপাশি জেলা মৎস্য কর্মকর্তাও এ মাছ দেখে গেছেন। খাবার দেওয়ার পর মাছগুলো যখন ওপরে উঠে আসে, মনে হয় পুকুরে রঙের মেলা বসেছে। চারপাশে ভিড় করেন নানা বয়সী নারী-পুরুষ। বিস্ময়ভরা চোখে তারা সৌন্দর্য উপভোগ করেন। দেখতে ভালো লাগে।
স্থানীয় বাসিন্দা আল আমিন আকন জানান, পরিষদের পুকুরে রঙিন মাছ দেখতে প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বেশি ভিড় থাকে।
পিরোজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজাহারুল ইসলাম জানান, বড় আকারের রঙিন মাছের চাষাবাদ জেলার ভাণ্ডারিয়াতেই প্রথম। এ মাছগুলো শুধু পুকুরের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্যই চাষ করা হয় বলে জানান তিনি।