ভোলার চরফ্যাশনে দুই সন্তান জন্মের পর বিয়ে এবং সন্তানদের অস্বীকারের অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং ভাশুর ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে মামলা করেছেন এক গৃহবধূ।
৮ ফেব্রয়ারি চরফ্যাশনের আমিনাবাদ ইউনিয়নের কুলছুমবাগ গ্রামের ফিরোজ চৌকিদারের মেয়ে বিবি খাদিজা ওরফে মৌসুমি বাদী হয়ে ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়েরের পর আদালতের নির্দেশে ১৭ মার্চ চরফ্যাশন থানায় মামলাটি রুজু করা হয়।
থানা পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত তিন আসামির মধ্যে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করেছেন।
গ্রেফতাররা হলেন চরফ্যাশন থানার চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের আব্দুল মন্নান মাঝির ছেলে নুর নবী ওরফে মিন্টিজ এবং নুর নবীর বড় ভাই মোহাসান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চরফ্যাশন থানার এসআই শাহিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর ইসলামী শরিয়া মোতাবেক নুরনবী ওরফে মিন্টিজের সঙ্গে খাদিজা ওরফে মৌসুমির বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের সময় কনের বয়স কম (১৫ বছর) থাকায় কাবিন রেজিস্ট্রি হয়নি। কথা থাকে বিয়ের পূর্ণাঙ্গ বয়স হলে কাবিন রেজিস্ট্রি হবে। বিয়ের পর বিভিন্ন অজুহাতে স্বামী নুর নবী যৌতুক দাবি করে। এতে খাদিজা তার বাবার বাড়ি থেকে বিভিন্ন সময় টাকা এনে দেয়। তাদের দুই কন্যাসন্তান জন্ম হয়।
দাম্পত্য জীবনের এক পর্যায়ে স্ত্রী কাবিননামা চাইলে নুরনবী স্ত্রীকে তার বাবার বাড়ি থেকে পাঁচ লাখ টাকা এনে দিলে কাবিন রেজিস্ট্রি করে দিবে বলে জানায়। স্ত্রী খাদিজা এ টাকা এনে দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। নুর নবী বিয়ে এবং তার সন্তান অস্বীকার করে। বিরোধের কারণে দীর্ঘসময় সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি থাকলেও খোঁজ না নেওয়ায় সমঝোতার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে মামলাটি করেছেন বলে জানান খাদিজা।
গ্রেফতারের পর পুলিশ হেফাজতে থাকা নুর নবী জানান, বিয়ে এবং সন্তানদের অস্বীকারের অভিযোগ সঠিক নয়। স্ত্রী এবং সন্তানদের আনার জন্য তিনি তার বাবাকে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়েছেন কিন্তু তারা আসেনি। তার স্ত্রী অযথা ঝামেলা করছে।