বার্তা ডেস্ক ॥ চারটি বছর ঘুরে আবার এসেছে লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ। ফেব্রুয়ারি মাসে অতিরিক্ত একটা দিন পেল গোটা বিশ্ব। আজ সেই ২৯ ফেব্রুয়ারি। এই দিবসটি নাকি নারীর পক্ষ থেকে পুরুষকে প্রস্তাব পাঠানোর দিন। নারী অপকটে তার পছন্দের মানুষকে জানিয়ে দেবে মনের কথা।
পুরুষেরাই সব সময় ভালোবাসার কথা জানাবেন, হাঁটু গেড়ে প্রেম বা বিয়ের প্রস্তাব দেবেন- আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় আমরা এমনটাই দেখেশুনে অভ্যস্ত।
সেই পঞ্চম শতাব্দীতে রোমানো-ব্রিটিশ পোপ সেন্ট প্যাট্রিককে কেউ একজন নারীদের হয়ে বলেছিলেন, ওদের তো মনের কথা জানাতে অনেক সময় লেগে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রিয়জনকে মনের কথা জানাতেই পারেন না। তার আগেই সেই প্রিয়জন অন্য কারও হয়ে যান।
অথবা যেকোনো কারণেই হোক, ওই নারী এবং পুরুষ আলাদা হয়ে যান। এর ফলে নীরবেই তৈরি হয় অনেক বিচ্ছেদের গল্প। কোনো দিন যেগুলো ইতিহাসের পাতায় জায়গা পায় না। তাই আজ পছন্দের মানুষকে জানিয়ে দিতে পারেন আপনার অনুভূতির কথা।
ঐতিহ্যগতভাবে লিপ ইয়ারের দিন মেয়েরা ছেলেদের প্রস্তাব দেয় বলে বিভিন্ন ইতিহাসবিদের কথায় উঠে আসে। তারই একটা পঞ্চম শতকে সেন্ট ব্রিজেটের ঘটনা, যেটা নিয়ে অবশ্য বেশ বিতর্ক আছে।
বলা হয়ে থাকে যে, তিনি সেন্ট প্যাট্রিকের কাছে অভিযোগ নিয়ে যান যে মেয়েদের তাদের পছন্দের মানুষের কাছে প্রস্তাব নিয়ে যেতে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়। সেন্ট প্যাট্রিক তখন সম্ভবত মেয়েদের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য ওই লিপ ইয়ারের একটি দিন নির্দিষ্ট করে দেন, সবচেয়ে ছোট মাসের সব শেষ দিন।
আরেকটা জনপ্রিয় গল্প প্রচলিত আছে যে, স্কটল্যান্ডের রানি মার্গারেট একটা আইন জারি করেন, যে সমস্ত পুরুষ লিপ ইয়ারে মেয়েদের দিক থেকে আসা বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেবে তাদের জরিমানা দিতে হবে।
কিন্তু অনেকে আবার বলে থাকেন, সে সময় মার্গারেটের বয়স ছিল মাত্র ৫ বছর এবং তিনি তখন অনেক দূরে নরওয়েতে ছিলেন। এই রীতি আসলে ১৯ শতক থেকে বেশি প্রচলিত হয়। মনে করা হয় যে মেয়েদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়ার এই রীতি চলে আসছে, যখন ইংলিশ আইনে লিপ ইয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়নি তখন থেকেই।
যদিও লিপ ইয়ারে মেয়েদের পক্ষ থেকে ছেলেদের প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি বিশ্বজুড়ে একেক দেশে একেক রকম। ডেনমার্কে যেমন এটা ২৯ ফেব্রুয়ারি নয়, বরং ২৪ ফেব্রুয়ারি- যা জুলিয়াস সিজারের সময় থেকে চলে আসছে।