আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

পিরোজপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অর্থ দন্ডের ২৮ লক্ষাধিক টাকা ট্রেজারিতে জমা


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৪ ৭:৩০ অপরাহ্ণ পিরোজপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অর্থ দন্ডের ২৮ লক্ষাধিক টাকা ট্রেজারিতে জমা
Spread the love

বার্তা ডেস্ক ॥  জেলায় সদ্য সমাপ্ত বছরে ৬৫৯ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে অর্থ দন্ডের ২৮ লক্ষ ৩২ হাজার ৪৫০ টাকা সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট খাতে জমা দেয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলার ৭ উপজেলার বিভিন্ন স্থান ও হাটবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অর্থ দন্ড প্রদান করে ২৮ লক্ষ ৩২ হাজার ৪৫০ টাকা আদায় করে। পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বিচার শাখা থেকে এ অর্থদন্ডের টাকা ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে গত বছরে পিরোজপুরে ৬৫৯ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১৫৬৬ টি মামলা দায়ের করা হয়। এ সময় বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকায় ৫৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়। এছাড়া সর্বমোট অর্থদন্ড ও কারাদন্ড প্রদান করা হয় ১৫৬৬ জনকে। নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে জেলার বিভিন্ন নদ-নদীতে মাছ শিকার করায় ২০ হাজার ৬শত মিটার জাল পুড়িয়ে ভষ্মীভূত করা হয়। আইন অমান্য করে মাছ শিকার, পরিবহন ও বাজারজাতকরণের অপরাধে অপরাধীদের ৬ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়ে টাকা আদায় করা হয়। পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মাধবী রায় বাসসকে জানান যেসকল আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ঔষধ আইন ১৯৪০ এর ১৮(গ) ধারা, সার ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৬ এর ১২(১) ধারা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ২০১৬ এর ৩১ ধারা, মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০ এর ১৪ ধারা, ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক আইন ২০০৬, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮, বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১১ ধারা, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ৬ এর ক ধারা, বিএসটিআই আইন ২০১৮ এর ৩০ ধারা, কৃষি বিপণন আইন, বাল্যবিবাহ আইন ২০১৭। পিরোজপুরের জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন আইন অমান্যকারীদের সাজা দেয়াই আমাদের মূল উদ্দেশ্য নয়। এদের সচেতন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তবে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে আইন অমান্য করে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলবে এবং খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে মানুষের জীবন বিপন্ন করবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং তাদেরকে আইনের আওতায় এনে অর্থদন্ড অথবা কারাদন্ড প্রদান করা হবে। পিরোজপুরের সুশিল সমাজের প্রতিনিধি ও জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান শিরিনা আফরোজ বলেন এ জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়মিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে বিধায় মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারছে। তিনি আরো বেশী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।