rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে নগরীর ঈদ বাজার জমজমাট, উৎফুল্ল ক্রেতারা, বিক্রেতারা খুশি। একই সাথে নগরীর পোশাক তৈরীর টেইলার্সগুলোও বন্ধ করে দিয়েছে পোশাক তৈরী অর্ডার নেয়া। দু’য়ে মিলে জমে উঠেছে বরিশালের ঈদ বাজার।
সরোজমিনে দেখাগেছে, বিগত ১৫ রমজান শেষ হওয়ার পর পরই ক্রেতা আকর্ষণে নানা সাজসজ্জা আর বিভিন্ন প্রকার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও নগরীর খুচরা ও পাইকারী পোশাক বিক্রেতারা। ছোট-বড় মার্কেট, স্বনামধন্য বিদেশী শোরুম ও শপিংমলগুলোর ভেতরে পোশাকের সমাহার আর বাইরে রং-বেরং-এর বাতিতে ঝলমল করছে সর্বত্র। উৎফুল্ল ক্রেতাদের জমজমাট কেনাকাটায় জমে উঠেছে মার্কেটগুলো। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আনা নিত্য নতুন কালেকশন নিয়ে পসরা সাজিয়েছে ফ্যাশন হাউজ ও মার্কেটগুলো। গৃহকর্তারা পরিবার পরিজন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কেনাকাটায়। চলছে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁক ডাকে। এছাড়াও সু-ষ্টোস্ গুলোতে চলছে বিকিকিনি। পোশাক তৈরী করা টেইলার্স গুলোতে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বড় বড় টেইলার্স গুলো কাপড় তৈরীর অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
পছন্দের মতো ঈদের পোশাক কিনতে আসা নাসরিন, সায়লা ও ব্যাংক কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার জানান, এ বছর রোজা শুরুর ২য় সপ্তাহ থেকে বেশ কয়েকবার নগরীর একাধিক মার্কেটে শপিং করতে এসেছি। কারন শেষর দিকে অনেক ভিড় হয়। কিন্তু চলতে বছর ঈদে সব জিনিস পত্র ও পোশাকের দাম একটু বেশি চড়া।
এ বিষয়ে নগরীর চকবাজার এলাকার স্বদেশী বস্ত্রালয়ের মৃনাল কান্তি সাহা বলেন, ক্রেতারা নিত্য-নতুন ডিজাইনের পোশাক ও শাড়ী কিনছেন। আসা করি বর্তমানের চেয়ে রমজানের শেষ সপ্তাহে বেচাকেনা আরো কয়েকগুন বেড়ে যাবে।
এবিষয়ে বিসিসি’র ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ হুমায়ুন কবির লিংকু বলেন, ঈদে কেনাকাটার জন্য বেশির ভাগ সু-ষ্টোস্ ও গামেন্টস্ রয়েছে ৯নং ওয়ার্ডে। তবে নগরীর চকবাজার, ভেনাস মার্কেট, সদর রোড, হেমায়েত উদ্দিন রোড, সোবাহান কমপ্লেক্স, ফকির কমপ্লেক্স, শপিংমলগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়াও সিটি মার্কেট ও মহসিন মার্কেটে নিন্ম ও মধ্যবিত্ব পরিবারের ক্রেতাদের ভিড় ছিলো লক্ষ্যণীয়।
এ ব্যপারে আলাপকালে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির বিপিএম-সেবা, পিপিএম বলেন, এ বছর ঈদে নগরীর মার্কেটগুলোতে বিদেশী পোশাকের সাথে সাথে দেশী পোশাকের সমারহ রয়েছে বেশ। তবে ঈদ মার্কেটে দেশীয় পাঞ্জাবীর চাহিদা থাকবেই। দেশী পোশাকের পাশাপাশি পাঞ্জাবীর নিজস্বতা ও ঐতিহ্য একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে।
তিনি আরো বলেন, ঈদ বাজারে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের নি:ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে ও যানজটমুক্ত রাখতে মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।