আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

পরীক্ষা শেষে কেন্দ্র ভাঙচুর করল এসএসসি পরীক্ষার্থীরা


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৪ ৮:১০ অপরাহ্ণ পরীক্ষা শেষে কেন্দ্র ভাঙচুর করল এসএসসি পরীক্ষার্থীরা
Spread the love

বার্তা ডেস্ক ॥  ঝালকাঠিতে এসএসসি পরীক্ষার শেষ দিনে পরীক্ষাকেন্দ্র ভাঙচুর করে করেছে পরীক্ষাথীরা। গতকাল রবিবার (১০ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে সরকারী হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা শেষে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় বিদ্যালয়টির ফ্যান, বাথরুমের দরজা, কমোড ও বৈদ্যুতিক লাইটসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা। এতে সরকারি সম্পত্তির লক্ষাধিক টাকার মালামাল নষ্ট হয়েছে বলে ধারণা করছে বিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দোতলার ২০৩ নম্বর কক্ষে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫ জন এবং উদ্বোধন বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৫ জন পরীক্ষার্থীসহ ৩০জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ওই কক্ষের চারটি বৈদ্যুতিক পাখা, ৩টি টিউব লাইট এবং কক্ষ সংলগ্ন প্রসাধন কক্ষের ৬টি দরজা, ফ্লাশ প্যান ও কমোড ভাঙচুর করা হয়েছে।

এছাড়া পশেই ২০৫ নম্বর কক্ষে ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬ জন এবং পৌর আদর্শ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৫ জনসহ ৩১ পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ওই কক্ষেরও দুটি বৈদ্যুতিক পাখা এবং দুটি টিউব লাইটও ভাঙচুর করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের কর্মচারী (আয়া) মাকসুদা বেগম বলেন, পরীক্ষা শেষ হলে পরীক্ষার্থীরা হৈ হুল্লোড় করে নেমে যায়। পরে কক্ষ পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখি সব ভাঙা।

কেন্দ্র সচিব এবং ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, আমি ছুটিতে এসেছি। ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করছেন মাসুম বিল্লাহ স্যার। তবে ভাঙচুরের ঘটনা শুনেছি।

এদিকে অভিযোগ ওঠা অধিকাংশ ছাত্ররাই ঝালকাঠির সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সুলতান আহম্মেদ বলেন, হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয় কেন্দে্রটিতে সাড়ে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। সবাই তো আমার বিদ্যালয়ের ছাত্র নয়। কিছু মেয়ে পরীক্ষার্থীও পরীক্ষা দিয়েছে। এছাড়া বিষয়টি হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয় বা কেন্দ্র কর্তৃপক্ষও আমাকে জানায়নি। তারপরেও ঘটনার তদন্তে যদি আমার বিদ্যালয়ের ছাত্ররা দোষী প্রমাণিত হয়, তাহলে অভিভাবক ও কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

ঝালকাঠি হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয় ও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারেই দেখছি।