rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ১১টি ইউনিয়নে মৎস্য সংরক্ষণ মৌসুমে কর্মহীন জেলেদের পুনর্বাসনের চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। বেতমোড় ইউনিয়নে যে চাল বিতরণ করা হয়েছে তাতে এক মাসে ৪০ কেজির স্থলে প্রত্যেক জেলে ৫-৬ কেজি চাল ওজনে কম পেয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইলিশের জাটকা আহরণ বন্ধ ও ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১১ মার্চ থেকে চার মাস সমুদ্র ও নদীর বিভিন্ন স্থানে জাল ফেলে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সরকারি এ নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক জেলেদের প্রতি মাসে ৪০ কেজি চাল প্রদান করে মৎস অধিদপ্তর।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে বেতমোড় রাজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে ইনটেক ত্রিশ কেজি ওজনের বস্তা খুলে ওজন মাপা যন্ত্র ছাড়াই বালতি দিয়ে মেপে জেলেদের বস্তায় চাল ভরে দিচ্ছেন। যেন জোর যার মুল্লুক তার।
জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা ৮৯০ জন জেলের জন প্রতি মাসে ৪০ কেজি চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়াম্যান উপজেলা মৎস্য অফিসের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে প্রতি জেলে পরিবারের মাঝে ৫-৬ কেজি ওজনে কম দিয়ে বিতরণ শুরু করেন। এতে জেলেদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ সময় বিক্ষুব্ধ জেলেরা ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সাংবাদিকদের অবহিত করেন। সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়েও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। ওজন করে দেখা যায়- উলুবাড়িয়া গ্রামের মান্নান বিশ্বাসের ছেলে আলম বিশ্বাসকে (জেলে) ৪০ কেজির পরিবর্তে ৩৪ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানন, জেলেদের তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়ার ভয়ে এ বিষয়ে কোনো জেলে প্রতিবাদ করেন না। বেতমোড় ইউনিয়নের মহারাজ, সেলিম মিয়াসহ একাধিক ভুক্তভোগী জেলের অভিযোগ, কার্ডধারী জেলেদের ৪০ কেজি করে চাল দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও ৫-৬ কেজি করে কম দেওয়া হচ্ছে।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন আকন ৫ কেজি করে চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা জনপ্রতি জেলেকে ৪০ কেজির পরিবর্তে ৩৭.৫ চাল বিতরণ করছি। বস্তায় চাল ঘাটতি, শ্রমিকদের মজুরির জন্য কিছু চাল কম দিতে হচ্ছে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, কার্ডধারী জেলেদের প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। পরিমাপে কম দেওয়ার সুযোগ নেই। ইউপি চেয়ারম্যান কম দিয়েছে সেটা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈকত রায়হান কালবেলাকে জানান, এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। প্রত্যেক ইউনিয়নে একজন করে সরকারি মালামাল বিতরণে ট্যাগ অফিসার দায়িত্বে থাকেন। চাল কম দেওয়ার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।