Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rocket domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
লঞ্চে শুরু হয়েছে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা - আজকের বার্তা
আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

লঞ্চে শুরু হয়েছে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ০৫, ২০২৪ ৫:৪৩ অপরাহ্ণ লঞ্চে শুরু হয়েছে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা
Spread the love

বার্তা ডেস্ক ॥  চাকরির কারণে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে থাকেন দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক জেলার মানুষ। এসব মানুষ পরিবারের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করতে সদরঘাট থেকে লঞ্চযোগে ফিরতে শুরু করেছেন।

আধাঘণ্টা পর পর যাত্রী নিয়ে ঘাটে ভিড়ছে লঞ্চ।  এ বছর ব্যবসায়ী ছাড়া অন্যান্য পেশার লোকজন আগেই ছুটি পেয়েছেন। তাই নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন তারা।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত লঞ্চঘাটে অপেক্ষা করে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে চাঁদপুরগামী লঞ্চের সংখ্যাই বেশি। আবার সিডিউলের লঞ্চগুলোও চাঁদপুর থেকে সদরঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে।

সকাল সাড়ে ১০টায় সদরঘাট থেকে ছেড়ে চাঁদপুর ঘাটে আসে এমভি সোনারতরী-১। এই লঞ্চটিতে হাজারের বেশি যাত্রী ছিল। এর আধঘণ্টা পর ১১টায় লঞ্চঘাটে ভিড়ে এমভি অগ্রদূত। এই লঞ্চটিতেও প্রচুর যাত্রী ছিল। লঞ্চটি ঢাকা সদরঘাট থেকে ছেড়ে চাঁদপুর হয়ে শরীয়তপুর ঈদগা ফেরিঘাটে গিয়ে যাত্রী নামায়।

বেলা ১১টায় ঢাকা থেকে আসে বিলাসবহুল লঞ্চ এমভি বোগদাদীয়া-৭। এই লঞ্চটিও অনেক যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাটে ভিড়ে।

ফরিদগঞ্জ রূপসা এলাকায় বাড়ি অগ্রদূত লঞ্চের যাত্রী হিমেল জানান, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার জন্য বাড়িতে এসেছি। যদিও লঞ্চে যাত্রী বেশি থাকায় কষ্ট হয়েছে, তা কিন্তু ঈদ আনন্দের কাছে কিছুই না। কারণ লঞ্চের চাইতে সড়ক পথে ভ্রমণ আরো বেশি কষ্টের।

ঢাকায় বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন রিয়াজ। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা। সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে লঞ্চযোগে চাঁদপুর ঘাটে এসে নেমেছেন। তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে আরও দুইদিন অফিস খোলা ছিল। অফিস থেকে ছুটি নিয়ে আগেই চলে এলাম মা-বাবার সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করব বলে। সন্তানরাও দাদা-দাদির সান্নিধ্য পেল।

স্বামীর চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকেন খাদিজা বেগম। তিন সন্তানকে নিয়ে চাঁদপুরে এসেছেন লঞ্চযোগে। তিনি বলেন, আমার শ্বশুর-শাশুড়ি নেই। তবে শ্বশুর পরিবারের অন্যান্য স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করার জন্য বাড়িতে এসেছি। ঈদ এলেই সন্তানরা বাড়িতে আসার অপেক্ষায় থাকে। বাড়িতে এসে ঈদ উদ্‌যাপন করলে আমাদের চাইতে শিশুরা বেশি আনন্দ পায়।

শিশু কামরুল হাসান থাকেন ঢাকায়। বাড়ি চাঁদপুর সদরে। সপরিবারে লঞ্চযোগে চাঁদপুরে এসেছে সে।

কামরুল জানায়, মা-বাবাসহ লঞ্চে করে চাঁদপুরে এসেছি। উদ্দেশ্য দাদা-দাদির সঙ্গে ঈদ করব। কারণ বাড়িতে না এলে ঈদের আনন্দ উপলব্ধি হয় না। ঈদে অনেক মজা করব।

ঘাটের লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি আলী আজগর সরকার বলেন, যাত্রীদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছানোর জন্য আমাদেরও সার্বিক চেষ্টা অব্যাহত। যে কারণে আমরা লঞ্চগুলো ঘাটে ভিড়লে যাত্রীদের সু-শৃঙ্খলভাবে নামতে সহযোগিতা করি।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে কয়েক স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। নদী পথে নিরাপত্তার জন্য নৌ পুলিশ সদস্যরা টহলে রয়েছে। ঘাটে নিরাপদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। ঘাটে আমাদের ৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। যাত্রীরা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন সেজন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে এবং নৌ পুলিশ কাজ করছে।