আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

যেখানে বিয়ের আগে পুরুষকে দিতে হয় একাধিক পরীক্ষা! ফেল করলেই চাবুক


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৪ ৬:৩৩ অপরাহ্ণ যেখানে বিয়ের আগে পুরুষকে দিতে হয় একাধিক পরীক্ষা! ফেল করলেই চাবুক
Spread the love

বৈচিত্র্যের শেষ নেই পৃথিবীতে। বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ভিন্নতা। তিন কোটি দুই লক্ষাধিক বর্গকিলোমিটারের আয়তনের আফ্রিকাও তেমনি বিস্ময়ের অপর নাম।

বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় এবং বর্ণমালার আবিষ্কারক এই মহাদেশকে বলা হয় সভ্যতার জননী। যাদের হাত ধরে সভ্যতার যাত্রা শুরু, তাদের নিয়ে পৃথিবীর অন্য সবার কতই না বিস্ময়!

আফ্রিকার আদিবাসী সম্প্রদায়দের মধ্যে নানারকম অদ্ভুত সব রীতিনীতি এখনো চালু আছে৷ তার অধিকাংশই আমরা হয়ত জানি না৷

তেমনই আফ্রিকার ইথিয়োপিয়া দেশের এক জনজাতি হ্যামার৷ জনসংখ্যায় প্রায় ৪০ হাজার। এই উপজাতি ওমো নদীর তীরে বসবাস করে। প্রধান পেশা গবাদি পশুপালন। আফ্রিকার বন্য উপজাতিদের আচার অনুষ্ঠান একে অপরের থেকে আলাদা।

বিবাহের অদ্ভুত সব নিয়ম নীতি চালু আছে এই হ্যামার সম্প্রদায়ের মধ্যে৷ প্রাথমিকভাবে এখানে পুরুষদের বিবাহের আগে একাধিক পরীক্ষা দিতে হয় প্রকাশ্যে৷

মনে করা হয়, এই সম্প্রদায়ের নারীরা পুরুষদের জন্য যে পরিমাণ আত্মত্যাগ করেন, পুরুষরা সেই পরিমাণ করেন না। সেই কারণে পুরুষদের একাধিক পরীক্ষা নেওয়া হয়৷ সেই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে মেয়েরাই চাবুক মারেন পুরুষকে৷

এখানে কোনো মহিলাকে বিয়ে করতে হলে, সেই বিয়ের প্রস্তাব ওই মহিলাকে প্রকাশ্যে গ্রাম সভায় দিতে হয়৷ তারপর সেই প্রস্তাবের ভিত্তিতে একাধিক পরীক্ষা শুরু হয় ওই পুরুষের৷ পুরুষটি নারীর যোগ্য কি না, তা বিচার করা হয়৷ তার অংশ হিসাবেই চাবুকের আঘাত করার রীতি চলে আসছে৷ ওই জনজাতি মনে করে, এই আঘাত পুরুষকে পুরুষত্বে উন্নীত করে৷

এছাড়াও পুরুষটি যে বিয়ের জন্য তৈরি, তার জন্য প্রকাশ্যে প্রমাণ দিতে হয় পুরুষটিকে৷ কীভাবে? ১৫টি গরু বা ষাঁড়কে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়৷ বিয়ের অধিকার পাওয়ার জন্য একজন বর ষাঁড়ের পিঠে উলঙ্গ হয়ে লাফ দেয়। তা হলেই ধরে নেওয়া হয় সেই পুরুষ বিবাহে প্রস্তুত৷

আর যদি কেউ সেটি না পারে, তখনই লজ্জার বেড়া ভেঙে সেই পুরুষটিকে সকলের সামনে ক্রমাগত চাবুক মারে পাণিপ্রার্থী মহিলা৷ তাতে পিঠে হয়ে যায় কাটা কাটা দাগ৷ এটাই তার শাস্তি৷

অন্যদিকে মেয়েদের ১২ বছর বয়সে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের দিন মেয়েরা চামড়া এবং ধাতু দিয়ে তৈরি একটি কলার পরে থাকে যা খোলা যায় না।

প্রতি রাতে এই উপজাতির মধ্যে একটি অনুষ্ঠান হয় যেখানে একজন স্বামী তার স্ত্রীকে বেত দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। আশ্চর্যের বিষয়, স্বামী এবং স্ত্রী দুজনেই সমানভাবে এই অনুষ্ঠান উপভোগ করে।